ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের নজিরবিহীন হামলার প্রথম বার্ষিকী সোমবার নানা আয়োজনে পালন করেছে দেশটি। ৭ই অক্টোবরের ওই হামলার জবাবে এমন এক যুদ্ধের সূচনা হয়েছে, যার বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলমান এ যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে আরও বিস্তৃত সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার (৭ই অক্টোবর) সকাল ৬টা ২৯ মিনিটে জেরুজালেম ও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। গত বছরের ৭ই অক্টোবর সকালের ঠিক এ সময়ে ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করেছিল হামাস। ইসরায়েলের তথ্যমতে, হামলাকারীরা প্রায় ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫০ জনকে বন্দী করে গাজায় নিয়ে যায়।
সকালে জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে গাজায় থাকা জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ মানুষ জড়ো হন। সেখানে তাঁরা প্রিয়জনদের ছবি প্রদর্শন করেন। তাঁরা সেখানে মৃতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন
জিম্মি কিথ সিগেলের পুত্রবধূ ইউভাল ব্যারন বলেন, ‘আমরা এখনো ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবরে আটকে আছি। এটি আতঙ্ক, ভয়, রাগ, হতাশাময় অন্তহীন একটি দিন।’
গত বছরের এই দিনে ইসরায়েলের রাইম এলাকায় একটি সংগীত অনুষ্ঠানে ৩৬০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। সোমবার এ স্থানে স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ।
হারজগ বলেন, ‘যাদের অপহরণ করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে, ধর্ষণ করা হয়েছে এবং গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, আমরা তাঁদের সব সময় স্মরণ করব। একই সময়ে আমরা অসাধারণ দৃঢ়তা দেখেছি। আমাদের জনগণ চমৎকার। আজকের এই দিনে আমরা জনগণের বন্ধন শক্তিশালী করছি এবং ঐক্যের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
গাজার সীমান্তবর্তী শহর ও গ্রামগুলোতেও সোমবার সারা দিন নানা অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
ডিবিসি/ এসএসএস