অতিরিক্ত মূল্যে ঈদের পোশাক বিক্রির অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার তিন দোকানে ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী বিক্রির দায়ে অপর একটি প্রতিষ্ঠানে আরও ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চুয়াডাঙ্গার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ( ৪ এপ্রিল ) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা শহরের নিউ মার্কেট এবং প্রিন্স প্লাজায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় নিউমার্কেটে অভিযানে মেসার্স হৃদয় ফ্যাশান নামক প্রতিষ্ঠান তদারকিকালে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন কাপড় বিক্রয় ও পণ্যের ভাউচার যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করার অপরাধে এর মালিক আকতার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স আজিজ বস্ত্রালয় এর মালিক আজিজ মাকসুদকে নির্ধারিত লাভের অতিরিক্ত লাভে বিভিন্ন জামা-কাপড় বিক্রয়ের অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে প্রিন্স প্লাজা নামক অপর একটি মার্কেটে মেসার্স স্টাইল ওয়ান প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে ৭৫০ টাকা মুল্যের একটি শার্টে ২৮৫০ টাকা প্রাইস ট্যাগ লাগানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৭৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করা শার্টে ২১০০ টাকা লাভ রাখা হয়েছে। অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার একেএম আলিমুজ্জামানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। এসময় সবাইকে অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
এছাড়া কবরী রোডে মেসার্স ভাই ভাই ফুসকা হাউসকে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ করে বিক্রয়ের অপরাধে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরিচালিত অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরবর্তীতে খন্দকার, মিঠাইবাড়ি, সাম্পানসহ মিষ্টির প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঈদে কোন প্রকার শর্ত দিয়ে পণ্য বিক্রয় ও মুল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা শহরের নিউমার্কেট, প্রিন্স প্লাজা ও কবরী রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে বিভিন্ন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের দোকান, মিষ্টির দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।
ডিবিসি/এনএম