বাংলাদেশ

অনলাইনে ঘরে বসে যেভাবে জিডি করবেন

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৩১শে মার্চ ২০২৩ ১০:০৫:০২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের জিডি করতে হয়। এক সময় হাতে লিখে জিডি করা গেলেও বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির সাথে সাথে আপডেট হয়েছে পুলিশের এই সেবায়।

রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে 'অনলাইন জিডি' নামের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের আধুনিকায়নের যুক্ত হওয়া অনলাইন জিডি কার্যক্রমের সফটওয়্যারটি সিডিএমএস++ সফটওয়্যারের সঙ্গে এপিআই-এর মাধ্যমে সংযুক্ত। ২০১১ সালে সিডিএমএস সফটওয়্যার তৈরি করা হয়, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সব থানায় দায়েরকৃত এফআইআর ও তদসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন তথ্যাদির ডিজিটাল রেকর্ড হিসেবে কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত হচ্ছে।

২০১৯ সালে অনলাইন জিডির বর্তমান সফটওয়্যারটির নির্মাণ শুরু হয়। ২০২০ সালের জুন থেকে এর পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়। ২০২২ সালের ২১ জুন সামগ্রিকভাবে এর উদ্বোধন করা হলো।

যেভাবে জিডি করবেন:

প্রথমে প্লে স্টোর থেকে ONLINE GD নামক সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হবে। এরপর নিজের মোবাইল নাম্বার ও মনে রাখার সুবিধা মতো পাসওয়ার্ড দিয়ে এবং অন্যান্য নির্দেশনা অনুসরণ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এরপর নির্ধারিত ছকের তথ্যসমূহ পূরণ করে অনলাইন জিডির তথ্যাদি এন্ট্রি করতে হবে।

নিবন্ধন অপশনে গেলে মিলবে আরও চারটি অপশন। সেখানে আছে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট ও বিদেশি পাসপোর্ট। তবে আপাতত জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে নিবন্ধন করা যাচ্ছে।

জাতীয় পরিচয়পত্রের অপশনে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, জন্মতারিখ ও পরিচয়পত্র যাচাই করে ব্যবহারকারীর জেলা থানা ইউনিয়ন গ্রাম ও ঘটনার বিবরণসংক্রান্ত তথ্য বিবরণী দিতে হবে।

অনলাইনে জিডি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ব্যবহারকারী পাবেন সার্ভিস কোড। অল্প সময়ের মধ্যেই অ্যাপস-এর মাধ্যমে অনলাইনে কিউ-আর কোড সম্বলিত জিডির কপি সংগ্রহ ও মুদ্রণ করা যাবে। সফটওয়্যার ছাড়াও অনলাইনে জিডি করা যাবে  http://gd.police.gov.bd/ এই লিংকের মাধ্যমে।


অনলাইন জিডি সুবিধাসহ সিডিএমএস++ এর ১৩টি ফিচার হলো-

১. অনলাইন জিডি।

২. জিডিসংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান ও তদারকি কার্যক্রম ।

৩. হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত ম্যাচিং রেকর্ড উপকারভোগীকে স্বয়ংক্রিয়-অবহিতকরণ।

৪. অশনাক্ত লাশ শনাক্তে ফটোম্যাচিং সুবিধা।

৫. মৃতের শরীরের বিভিন্ন অংশের ৩২টি ছবিসহ ভয়েস-টাইপে স্বয়ংক্রিয় সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি৷ 

৬. ডিজিটাল মানচিত্রে সন্দেহভাজনদের আবাসন চিহ্নিতকরণ।

৭. বিট পুলিশিংসহ টহল দলের গতিবিধি অনলাইন-মানচিত্রে সরাসরি নিরীক্ষণ।

৮. পুলিশের ছুটি ও সিসি ব্যবস্থাপনা।

৯. অটো আপডেটিং পুলিশ ফোনবুক।

১০. পুলিশের সুষম দায়িত্ব বণ্টন ব্যবস্থা।

১১. পুলিশের দক্ষতা-পরিমাপক কর্মমূল্যায়ন ব্যবস্থা।

১২. পুলিশের জন্য সিমবিহীন বহুমুখী আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা।

১৩. অবস্থান চিহ্নিতকরণ ও লাইভ-ফটোম্যাচিং সুবিধাসহ পুলিশের ডিজিটাল হাজিরা।

১৩টি ফিচার নিয়ে সিডিএমএস++ বাংলাদেশ পুলিশের নিজস্ব উদ্যোগে সিডিএমএস টেকনিক্যাল কমিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে নির্মিত একটি অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। সফটওয়্যারটির মোবাইল অ্যাপস ও ওয়েব সংস্করণ ব্যবহার করে সেবাগ্রহীতা ঘরে বসেই জিডিযোগ্য বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ রেকর্ড করতে পারবেন এবং এ বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী আপডেট জানতে পারবেন। তবে এই অ্যাপসে কোন মিথ্যা তথ্য দিয়ে জিডি করা কিংবা অপ্রয়োজনে লগইন করে কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যস্ত না রাখতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।

ডিবিসি/কেএমএল

আরও পড়ুন