অনলাইনে নকশি কাঁথা বিক্রি করে সফল পাবনার কলেজ ছাত্রী সখি। মাত্র এক বছরে নকশি কাঁথা বিক্রি করে সুনাম কুড়িয়েছেন দেশের বাইরেও। স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ভাগ্য বদলে দিয়েছেন ২৫ নারীর।
করোনার সময় শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ অবসর। আর এই সময়টাই কাজে লাগিয়েছেন পাবনা সদরের গয়েশপুর গ্রামের নাদিয়া সুলতানা সখি।
লেখাপড়া করছেন পাবনা সরকারি মহিলা কলেজের ইংরেজি প্রথম বর্ষে। করোনা সংক্রমণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকায় অলস সময় না কাটিয়ে শুরু করেন নকশী কাঁথায় স্বপ্ন বুননের কাজ।
অনলাইনে পণ্য বিক্রির মাধ্যম- তৃণমূল নারীদের ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নেয়া ওমেন এন্ড ই কমার্স ফোরাম- উই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শুরু করেন তিনি। মাত্র ৩ জন নারীকে নিয়ে শুরু করলেও এখন ২৫ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
তাদের তৈরি নিখুঁত নকশিকাঁথার চাহিদা নিজ এলাকা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রামসহ বিদেশেও। অনলাইনে অর্ডার নিয়ে নকশিকাঁথা পৌঁছে দিচ্ছেন ক্রেতার কাছে। এক বছরে সাড়ে তিনশরও বেশি নকশিকাঁথা বিক্রি করেছেন তিনি। যার বিক্রি মূল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা; যার বেশিরভাগই হয়েছে উই-এর মাধ্যমে।
নাদিয়া সুলতানা সখি জানান,'কোন মাসে ২০টা কোন মাসে ৩০টা অর্ডার আসে। সবাইকে নিয়ে আমার ইচ্ছা আছে অনেক দূর যাবো। আর সরকারের যদি সহযোগীতা পাই, তাহলে তো আরও ভালো হয়।'
সখির এই উদ্যোগে খুশি পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক।
পাবনা জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন,'আমরা সহযোগীতা করবো। সে যদি ব্যাংক লোন চায় তো সেক্ষেত্রে আমরা সহযোগীতা করবো। যেহেতু এসএমি একটা প্রণোদনা আছে। নারীদের জন্য একটা কোটা আছে আমরা সেটা করতে পারবো।'
সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশ ও দেশের বাইরে নকশিকাঁথাকে আরও জনপ্রিয় করা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।