অনলাইনে জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই।
ক্রিকেটের ভয়ংকর জুয়ায় নাম বেট থ্রি সিক্সটি ফাইভ। এতে, আসক্ত রাজশাহীর লক্ষাধিক মানুষ। অনলাইনে এই জুয়া খেলে এরই মধ্যে নিঃস্ব হয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি রাজশাহীর এক ব্যাংক কর্মকর্তা এই জুয়া খেলার জন্য ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নিয়ে এখন কারাগারে।
রাজশাহীর প্রিমিয়ার ব্যাংকে কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম ফয়সাল সবার কাছে ভালো মানুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ায় তার সেই ভাবমূর্তি আর নেই। ভল্ট থেকে তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরানোর দায়ও স্বীকার করেছেন ফয়সাল। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী জোনের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা খান জানান, 'দুই কোটি টাকা বন্ধুকে দিয়েছে আর এক কোটি দিয়ে সে ঢাকায় জমি কিনেছে।পরে, বিষয়টি প্রধান কার্যালয়কে অবহিত করা হয়। মামলাদায়েরের পর থানায় পুলিশের কাছে তাকে হ্যান্ডওভার করা হয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সাল জানান, পুরো টাকাই তিনি অনলাইনে বেট থ্রি সিক্সটি ফাইভ জুয়া খেলে হারিয়েছেন।
এদিকে, ফয়সালের পরিবারের দাবি, জুয়া খেলা কিংবা ব্যাংক থেকে টাকা সরানোর বিষয়ে কিছুই জানতেন না তারা।
অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সালের মা জানান, সে যদি অনলাইনে জুয়া খেলে তাহলে সেটা ব্যাংকের ম্যানেজার বলতে পারবে, আমার ছেলে একা কিভাবে এ সাহস আর সুযোগ পায়। আমাদের বিশ্বাস সে একাজ একা করতে পারেনা। আর যদি করেও থাকে তাহলে তার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে।
তবে, ফয়সালের এক বন্ধু জানান, শহরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এই জুয়ায় আসক্ত। অনলাইন জুয়ার পাশাপাশি সব ধরনের সাইবার অপরাধ বন্ধে পুলিশের পরিকল্পনার কথা জানালেন পুলিশ প্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, অনলাইন বেটিং সাইবার ক্রাইমের আওতায় পড়ে, তাই এ অপরাধে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের সাইবার সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন স্থানে ক্যাসিনো বন্ধ হলেও এখনো অনলাইনে রমরমা জুয়া খেলা। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুত এই জুয়া বন্ধের দাবি রাজশাহীবাসীর।