সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই বিভিন্ন ঘটনা, ভিডিও ভাইরাল হয়। এবার তেমনি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকের দুনিয়ায়। যা নিয়ে তুমুল আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক তরুণীকে সারপ্রাইজ দিতে চাইছেন তার এক বন্ধু। এসময় তরুণীর দুই চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে রাখেন তিনি। অত:পর চোখ খুলে দেন, দেখা যায় ধীরে ধীরে রেস্তোরাঁয় একে একে পাঁচ তরুণ প্রবেশ করেন। এরপর ওই তরুণীকে ছয় যুবক নানা অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। এসবের মধ্যে অন্যতম অভিযোগ, মেয়েটি নাকি একই সঙ্গে ছয় ছেলের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন।
রোমান হক নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েকটি ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে একজন বলছেন, মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্কে এমনভাবে জড়িয়েছিলেন যে তিনি সাইকো হয়ে গিয়েছিলেন। মেয়েটিকে তিনি অন্ধের মতো বিশ্বাস করতেন। তার স্বজন বন্ধুবান্ধবরাও ওই মেয়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে বলতেন, তিনি শুনতেন না। দামি উপহারসামগ্রী মেয়েকে তিনি দিতেন। একটা সময় তিনি তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়েটি ছয়টি প্রেম করছে একই সঙ্গে। এরপর সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিরপুরের ওই রেস্তোরাঁয় ডেকে আনেন। যুবকের দাবি, সকলেই তার প্রেমিক।
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই অনেক ধরণের মন্তব্য করছেন। নেটিজেনদের বাইরে মিডিয়া অঙ্গনের অনেকেই কথা বলছেন। তাদেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা। তিনি মনে করেন, ছেলেরা যদি একাধিক সম্পর্কে যুক্ত থাকে তাহলে মেয়েদের থাকতেও দোষ নেই। নিজের ফেসবুকে এমনটাই জানিয়ে লিখেছেন, ‘অথচ কত শত ছেলেরা…শুধুমাত্র ৬টা কেন-১২টা গার্লফ্রেন্ড মেইনটেইন করে। আবার এই আমরাই তাদের পিঠ চাপড়িয়ে বাহবা দেই..!’
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. নাজমুল হক বলছেন, মেয়েটির অপরাধ থাকলেও আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারবে না। তিনি মনে করেন, অনলাইন হ্যারাজমেন্ট মোটেও কাম্য নয়।