আর এসব সহজ সরল শিক্ষার্থীগুলোকে টার্গেট করেন সেই  গ্রামের একজন মিডিয়ার টাইটেল ব্যবহার করা এক দালাল। সেই দালাল ঢাকায় নিয়ে গিয়ে এদের স্বপ্ন পূরণ করার নামে কারো কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় জমি তো কারো কাছে নেয় ঘর বিক্রির টাকা। কাউকে আবার অভিনেত্রী বানানোর কথা বলে চালাতো নির্মম শারীরিক নির্যাতন।

আর এই ফাঁদে পড়ে সহজ সরল মুখ গুলো বাড়ি ফেরবে কোন মুখে ভেবে ভেঙে পড়ে অনেকেই। বাড়ির সর্বস্ব এনেও স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি, কিভাবে পরিবারের মুখোমুখি হবে সাহসে না কুলালে কেউ বেছে নিয়েছে আত্মহত্যার পথ।

আর এরকম কঠিন সময়ে তারা নজরে আসে এক চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকের। যিনি অনেক আশার আলো নিয়ে তাদের বোঝায় এভাবে ভেঙে পড়লে হবে না। জীবনে এরকম কঠিন সময় আসবেই। তাকে সাহসের সাথে জয় করতে হবে। তোমরা এভাবে চুপ থাকলে  স্বপ্ন দেখতে ভয় পাবে গ্রামের নীরিহ ছেলে-মেয়েরা। 

তোমাদের স্বপ্নকে নিয়ে যারা খেলেছে তাদের সবার সামনে এনে তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে সকলের কাছে। এরকম মিডিয়ার নামধারী সব লোকদের মুখোশ তোমরা না খুললে এরা আরও অনেকের জীবন নিয়ে এভাবেই ছিনিমিনি খেলবে।

সেই ফেরেশতা রুপী পরিচালকের কথায় আস্থা ফিরে পায় সবাই।  আত্মবিশ্বাসে তারা ওই সব ধোঁকাবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তারা একে একে  মিডিয়ার সামনে তাদের মুখোশ খুলে দেয়। ঘটনা  প্রবাহের ঘটে যায় আরো অনেক  কিছু।

স্বপ্ন, স্বপ্নভঙ্গ আর প্রতিশোধের গল্পই হলো এই রং ঢং। এ গল্প যেন আশা জাগায় নতুন ভোরের, নতুন দিনের। ৮ই নভেম্বরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি।

নির্মাতা আহসান সারোয়ার বলেন, ‘একটি দুটি নয়, একাধিক বাধা পেরিয়ে অবশেষে ছবিটি দর্শকের সামনে আনতে পারছি। এটা অনেক আনন্দের। এখন দর্শক ছবিটি পছন্দ করলে কষ্ট সার্থক হবে।'

উল্লেখ্য, পাঁচ বছর আগে আহসান সারোয়ার শুটিং শুরু করেন ‘রং ঢং’ ছবির। এক বছরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে মুক্তি দেয়ার জন্য সেন্সরেও জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিন বছর ছবিটি আটকে ছিল সেন্সর বোর্ডে। গত বছর আপিলের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ছাড়পত্র পায় তারিক আনাম খান, আরমান পারভেজ মুরাদ, মাহিমা, লুত্ফর রহমান জর্জ, জামিল হোসেন, সোহেল মণ্ডল অভিনীত ‘রং ঢং’। অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে রং ঢং। 

ডিবিসি/এসএইচ