অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কর্মকাণ্ডে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সবচেয়ে বড় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দেশের নাজুক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে।
আয়-রোজগার কমে যাওয়া, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা নিয়েও হতাশ অনেকে। তবে জুলাই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি, বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ এবং নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণাকে সরকারের বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন তারা।
গত বছরের ৮ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর মৌলিক সংস্কার, বিচার, নির্বাচন ও সামাজিক বৈষম্য দূর করার মতো আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। বর্ষপঞ্জি মূল্যায়নে দেখা যায়, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য না কমায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
এ সময়ে সাধারণ মানুষের আয় কমেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সরকারের কাছে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, কোটা বিলোপ এবং বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমানোর যে প্রত্যাশা ছিল, তার আশানুরূপ ফল মেলেনি বলে মনে করছেন অনেকে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা এবং লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালুর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় ভারতের সঙ্গে নতজানু নীতি গ্রহণেরও অভিযোগ উঠেছে।
তবে জুলাই গণহত্যার বিচার শুরু ও বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জনগণ। নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হওয়াকে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, একটি রাজনৈতিক সরকার এলে দেশে অস্থিরতা কমবে। তবে যে দলই সরকার গঠন করুক, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ওপর তাগিদ দিয়েছেন নাগরিকরা।
ডিবিসি/এএমটি