বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই শহীদ হাদি হত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা জানান।
এ সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, হাদি হত্যা মামলা চলাকালীন এ যাবৎ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ঘটনার মূল হোতা ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা, মো. কবির, নুরুজ্জামান নোমানী ওরফে উজ্জ্বল, সিবিয়ন দিও, সঞ্জয় চিসিম, মো. আমিনুল ইসলাম রাজু ও মো. আব্দুল হান্নান।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এবং ৪ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জব্দকৃত উল্লেখযোগ্য আলামতসমূহ হলো—হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, ম্যাগাজিন ও ছোরা, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ভুয়া নম্বর প্লেট, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলির খোসা, বুলেট, সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিওচিত্র ও অন্যান্য আলামত এবং প্রায় ৫৩টি অ্যাকাউন্টের মোট ২১৮ কোটি টাকার স্বাক্ষরিত চেক।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা জড়িত রয়েছে, তা উদ্ঘাটনের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও উদ্ধারকৃত আলামত পর্যালোচনা এবং সার্বিক বিবেচনায় মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে (৭ জানুয়ারি ২০২৬) এ মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ডিবিসি/কেএলডি