অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের পরই সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া হয়, এছাড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগত শিশুর নাগরিকত্বের বিষয়ে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
অবৈধ অভিবাসীদের বিষয়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে তিনি পেন্টাগনকে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ, অবৈধ অভিবাসীদের আটক এবং অভিবাসীদের পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য সীমান্তে প্রয়োজনীয় সৈন্য মোতায়নে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
তবে এসব আদেশের মধ্যে বিশেষত জন্মগত নাগরিকত্বের সংজ্ঞা পরিবর্তনের যেকোনো আদেশ প্রচণ্ড আইনি বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে।
ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বাইডেন প্রশাসনের ‘ধ্বংসাত্মক’ নীতিগুলো ‘পাঁচ মিনিটের মধ্যে’ বাতিল করা হবে। নতুন প্রশাসন ‘সিবিপি ওয়ান’ অ্যাপ বাতিল করার কয়েক ঘণ্টা আগে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করা হয়। ওই অ্যাপের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের জন্য আগে থেকেই বুকিং করতে হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অবৈধ অভিবাসীদের বের করা এবং সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আবারও ক্ষমতায় এসেছেন রিপালিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া তিনি বাইডেনের শাসনামলে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। যদিও গত বছর বাইডেন তার নীতিগুলো কঠোর করার পর এবং মেক্সিকো সীমান্তে আইন প্রয়োগ করার পর অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের সময় আটক অভিবাসীদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়।
ডিবিসি/ এসএসএস