আন্তর্জাতিক

আকস্মিক বন্যার পর স্পেনে বেশ কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৩০শে অক্টোবর ২০২৪ ০২:৪৩:১৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

দক্ষিণ-পূর্ব স্পেনের আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অনির্দিষ্ট সংখ্যক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলের নেতা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গতকাল মঙ্গলবার পূর্ব ও দক্ষিণ স্পেনের বেশিরভাগ অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে রাস্তা এবং শহরগুলো প্লাবিত হয়ে যায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খেবর জানিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, অন্তত সাতজন এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলের একজন ট্রাক চালক এবং পূর্বাঞ্চলীয় আলবাসেতে প্রদেশের লেটুর শহরে ছয়জন। জরুরি পরিষেবা কর্মীরা নিখোঁজদের সন্ধানের জন্য রাতভর কাজ করবে বলে কাস্টিলা-লা মাঞ্চায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি মিলগ্রোস টোলন স্প্যানিশ পাবলিক টেলিভিশন স্টেশন টিভিইকে জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, অগ্রাধিকার হলো এই লোকদের খুঁজে বের করা।

ভ্যালেন্সিয়ার আঞ্চলিক নেতা কার্লোস ম্যাজন বলেছেন, মরদেহ পাওয়া গেছে, কিন্তু পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে আমরা আর কোনো তথ্য দিতে চাচ্ছি না।


বাসিন্দাদের তোলা এবং স্প্যানিশ টিভিতে সম্প্রচার করা ছবিতে দেখা যায়, বিশাল জলরাশি যানবাহন ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং ভবনগুলো বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কোনো কোনো এলাকায় এক দিনেই এক মাসের চেয়ে বেশি পরিমান বৃষ্টি হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের বাড়িতে থাকতে এবং সকল অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে।

স্পেনের রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া সংস্থা পূর্ব ভ্যালেন্সিয়া অঞ্চলে রেড অ্যালার্ট ঘোষণা করেছে। তুরিস এবং ইউটিয়েলের মতো কিছু এলাকায় ২০০ মিমি (৭.৯ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে বন্যার পানিতে আটকা পড়া লোকদের দেখা যায়।

অন্যান্য ভিডিও ফুটেজে দমকলকর্মীরা বন্যার পানিতে আটকা পড়া লোকদের সাহায্য করার হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে দেখা যায়। স্পেনে অপেক্ষাকৃত বিরল ঘটনা এটি।

রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেডিও এবং টিভি স্টেশনগুলো বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া নাগরিকদের সাহায্যের জন্য শত শত ফোনকল পাচ্ছিল, কারণ জরুরি পরিষেবাগুলো সব ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন ঘটনা ঘন ঘন ঘটছে। দেশটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় স্কুল এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

ডিবিসি/ এসএসএস

আরও পড়ুন