আকাশ থেকে দেখলে মনে হয় গাজা যেন কোনো প্রাচীন সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ, যা শতাব্দীর অন্ধকার থেকে আলোতে উঠে এসেছে। কংক্রিটের ভাঙা টুকরো, চূর্ণবিচূর্ণ দেয়াল, বোমার আঘাতে তৈরি হওয়া অসংখ্য গর্ত আর কোথাও না পৌঁছানো রাস্তা দিয়ে ভরা এক বিধ্বস্ত ভূখণ্ড। এটি যেন মুছে ফেলা এক শহরের কঙ্কাল।
দ্য গার্ডিয়ান সংবাদমাধ্যমকে জর্ডানের একটি সামরিক বিমানে ত্রাণ সহায়তার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই সুযোগে আকাশ থেকে গাজার ভয়াবহ চিত্র দেখার সুযোগ পান তাদের সাংবাদিক। ছবি তোলেন বেশ কয়েকটি। এতেই বোঝা যায়, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে একসময়ের এই প্রাণবন্ত শহরটি এখন এক মহাপ্রলয়ের পরের দৃশ্যের রূপ নিয়েছে।
কিন্তু এই ধ্বংসযজ্ঞ কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সময়ের করাল গ্রাসে ঘটেনি। প্রায় দুই বছর আগেও এই গাজা ছিল প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর এক জীবন্ত জনপদ। এখানকার বাজারগুলো থাকতো লোকে লোকারণ্য, রাস্তাগুলো থাকতো শিশুদের কলরবে মুখর। কিন্তু সেই গাজা আজ আর নেই।
তীব্র খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটের কারণে গাজায় এখন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছে। যদিও আন্তর্জাতিক চাপের পর ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় সমন্বিত বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার অনুমতি দিয়েছে। তবে তা গাজার মানুষের ত্রাণ চাহিদার খুব সামান্যই পূরণ করতে পারছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
ডিবিসি/এমএআর