ইউনূস-রুবিও ফোনালাপ

আগামী বছরের শুরুতে নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১লা জুলাই ২০২৫ ০৭:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৫ মিনিটের এই আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, চলমান সংস্কার কার্যক্রম এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের রূপরেখা সহ বিভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত এই ফোনালাপটি ছিল উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও গঠনমূলক, যা দুই দেশের মধ্যকার শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরই প্রতিফলন।

 

আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বাংলাদেশের চলমান সংস্কার কর্মসূচি এবং আগামী বছরের শুরুতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানির বাজার এবং রেমিটেন্সের অন্যতম প্রধান উৎস। এই প্রেক্ষাপটে, উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা দ্রুত চূড়ান্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যান্ডাউয়ের ফলপ্রসূ বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

বাংলাদেশের অনুরোধে দ্বিপাক্ষিক শুল্ক ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখতে সম্মত হওয়ায় প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য কর্মসূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি কার্যকর পদক্ষেপ চূড়ান্ত করতে আমরা আপনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।”

 

গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করে অধ্যাপক ইউনূস পুনর্ব্যক্ত করেন যে, “আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপ দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সংস্কার আনতে সহায়ক হবে। নির্বাচন কমিশন পূর্ববর্তী সরকার কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুনর্গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

 

পাশাপাশি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় ও সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক উদারনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান এবং তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা এখন আগের চেয়ে অনেক উজ্জ্বল।”

 

ফোনালাপে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কসহ বিভিন্ন ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও মতবিনিময় হয়।

 

তথ্যসূত্র বাংলাদেশ সংবাদসংস্থা

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন