২০১৮ সালের পর প্রথমবারের মত যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। আগামী ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন তিনি। এই সফরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক সহযোগিতা এবং বাণিজ্য বিষয়ে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানা গেছে।
২০১৮ সালের পর এটিই হতে যাচ্ছে সৌদির ডি ফ্যাক্টো নেতা হিসেবে পরিচিত ৪০ বছর বয়সী এমবিএসের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর। বৈঠকে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, এটি এখনই ঘটার সম্ভাবনা কম এবং এই সফরের ব্যবসায়িক ও প্রতিরক্ষা চুক্তিগুলো স্বাভাবিকীকরণের ওপর নির্ভরশীল নয়।
গাজায় দুই বছরের যুদ্ধের অবসানে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পরপরই এই সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২০২৩ সালে সংঘাত শুরু হওয়ার ঠিক আগে, এমবিএস যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি বিস্তৃত চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন, যার মধ্যে সৌদি আরবের ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং বিনিময়ে আমেরিকার নিরাপত্তা গ্যারান্টি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সংঘাতের ফলে আলোচনা স্থগিত হয়ে যায় এবং সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের শর্ত হিসেবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে।
এই সফরের আগে ট্রাম্প গত মে মাসে সৌদি আরব সফর করেন। সেই সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে ৩০ জনেরও বেশি মার্কিন ব্যবসায়ী নেতা ছিলেন এবং রিয়াদে থাকার সময় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার বেশিরভাগই এআই চিপস এবং ডেটা সেন্টার সম্পর্কিত।
সূত্র: ব্লুমবার্গ, মিডল ইস্ট আই
ডিবিসি/এমএআর