গতরাতে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে একটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালিয়ে বিস্ফোরণ ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর দাবি করেছে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী। অন্যদিকে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে তেল শোধনাগারে হামলার কথা স্বীকার না করলেও একজন নিহত এবং বেশ কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো, যখন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।
সারাতোভের গভর্নর রবিবার (১০ই আগস্ট) জানিয়েছেন, হামলায় একজন নিহত এবং কয়েকটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ও একটি শিল্প স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে তিনি তেল শোধনাগারের কথা উল্লেখ করেননি। আল জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইউক্রেনের ড্রোনগুলো এখন রাশিয়ার আগের চেয়ে অনেক গভীরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে।
স্থলপথেও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রবিবার দাবি করেছে, তারা সুমি অঞ্চলের বেজসালিভকা গ্রামটি রুশ বাহিনীর কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে এবং ১৮ জন রুশ সৈন্যকে হত্যা করেছে। এর আগে ওই অঞ্চলে রুশ বাহিনী বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছিল।
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলেও রুশ হামলা অব্যাহত রয়েছে। শনিবার খেরসন অঞ্চলে একটি বাসে রুশ ড্রোন হামলায় কমপক্ষে দুজন নিহত ও ১৬ জন আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আরেকটি ড্রোন হামলায় তিনজন কর্মকর্তা আহত হন। জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও রুশ হামলায় একটি গাড়িতে থাকা দুজন এবং নিজ বাড়িতে থাকা এক ৬১ বছর বয়সী নারী নিহত হয়েছেন।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, গতরাতে রাশিয়া ৪৭টি ড্রোন ছুড়েছিল, যার মধ্যে ১৬টি তারা ভূপাতিত করেছে। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তারা গতরাত ও শনিবার সকালে রাশিয়ার আকাশসীমা এবং কৃষ্ণ সাগরের ওপর থেকে মোট ১১৮টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
সূত্র: আল জাজিরা
ডিবিসি/এমএআর