‘বিশ্ব কবিতা দিবস’ আজ। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো ২১ মার্চকে ‘বিশ্ব কবিতা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে। বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা ও শিক্ষাকে উৎসাহিত করাই এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য।
স্তব্ধ হল দশ দিক নত করি আঁখি–
বন্ধ করি দিল গান যত ছিল পাখি।
শান্ত হয়ে গেল বায়ু, জলকলস্বর
মুহূর্তে থামিয়া গেল, বনের মর্মর
বনের মর্মের মাঝে মিলাইল ধীরে।
নিস্তরঙ্গ তটিনীর জনশূন্য তীরে
নিঃশব্দে নামিল আসি সায়াহ্নচ্ছায়ায়
নিস্তব্ধ গগনপ্রান্ত নির্বাক্ ধরায়।
সেইক্ষণে বাতায়নে নীরব নির্জন
আমাদের দুজনের প্রথম চুম্বন।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ইউনেস্কোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল, ‘এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলোকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।
এর আগে অক্টোবর মাসে ‘বিশ্ব কবিতা দিবস’ পালন করা হতো। প্রথম দিকে কখনও কখনও ৫ অক্টোবর এই উৎসব পালিত হলেও বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে রোমান মহাকাব্য রচয়িতা ও সম্রাট অগস্টাসের রাজকবি ভার্জিলের জন্মদিন স্মরণে ১৫ অক্টোবর এই দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়।
এখনও অনেক দেশে অক্টোবর মাসে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কবিতা দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের বিকল্প হিসেবে অক্টোবর অথবা নভেম্বর মাসের কোনো এক দিন কবিতা দিবস পালনেরও প্রথা আছে।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশেও বিভিন্ন কবিতা ও আবৃত্তি সংগঠনের পক্ষ থেকে এ দিবসটিকে উদযাপন করার রীতি চালু হয়েছে। দিবসটিকে কেন্দ্র করে কবিতাসংশ্লিষ্ট আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়াগুলোতেও অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে।
‘বিশ্ব কবিতা দিবস’ পালনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, কবিদের সম্মান জানানো, কবিতা আবৃত্তির ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করা, কবিতা পড়া , কবিতা লেখা ও শিক্ষার প্রচার, নাট্য, নৃত্য, সংগীত ও চিত্রকলার মতো অন্যান্য শিল্পের সঙ্গে কবিতার সমন্বয়কে উৎসাহ দেওয়া এবং কবিতাকে বিভিন্ন মাধ্যমে জনপ্রিয় করে তোলা।
ডিবিসি/ এফএটি