রাজধানীর কদমতলী থানায় দায়ের করা শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (৪ঠা আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এদিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে তিন নেতাকে হাজতখানা থেকে আদালতের উদ্দেশে বের করা হয়। আদালতের ৫ তলায় শুনানির জন্য তাদের নিয়ে যাওয়ার কথা শুনে হাসানুল হক ইনু ও জুনাইদ আহমেদ পলক লিফটে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
হাসানুল হক ইনু সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় পুলিশকে বলেন, "আমার হার্টে সমস্যা। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারবো না।"
তবে তাদের সিঁড়ি দিয়েই ওপরে নেওয়া হয়। ৩ তলায় ওঠার পর ইনু ও পলক হাঁপিয়ে গেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। পরে আবার ৪ তলায় উঠে তারা বিশ্রাম নিতে দাঁড়ালে পুলিশ সদস্যরা তাদের ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করেন। প্রায় এক মিনিটের বেশি সময় বিশ্রামের পর সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে তাদের ৫ তলার আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
কাঠগড়ায় তোলার পর তাদের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট ও হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়। এসময় পলক ও ইনু তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। পলক তার পরিবারের ও এলাকার মুরব্বিদের খোঁজখবর নেন এবং নিজের ব্যাকপেইনের সমস্যার কথা জানান। এক পর্যায়ে একজন পুলিশ সদস্য কথা বলতে বারণ করলে পলক তার পরিচয় জানতে চেয়ে কিছুটা উত্তেজিত হন। তবে পরে পুলিশ সদস্য তাকে শান্ত করেন। অন্যদিকে, হাসানুল হক ইনুকে বেশ ক্লান্ত দেখাচ্ছিল এবং রাশেদ খান মেননকে আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। পুলিশ কদমতলী থানার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে শুনানি শেষে ১০টা ৪২ মিনিটে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
আদালতের কার্যক্রম শেষে তিন সাবেক মন্ত্রীকে লিফটের মাধ্যমে নিচে নামানো হয় এবং কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় পুনরায় হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেও তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসের সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই রাজধানীর কদমতলী এলাকায় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় গত বছরের ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ডিবিসি/আরএসএল