গুমের মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীকে আদালত থেকে জেলহাজতে নেওয়ার পথে আদালত চত্বরে ডিম নিক্ষেপের সময় পাঁচ ছাত্রদল নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার আধ ঘণ্টা পর মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আজ বুধবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহে শিবির নেতা তুহিন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ ও বিভিন্ন স্লোগান দেন শিবির নেতাকর্মীরা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম সেন্টু জানান, ২০১৬ সালে শিবগঞ্জ উপজেলার পারদিলালপুর গ্রামের যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানুর রহমান এবং রেজাউল করিম আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সহায়তায় গুম হন। তারা সম্পর্কে দুই ভাই।
এ ঘটনার আট বছর পর অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ এনে বাবা আইনাল হক শিবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশের পাঁচজনকে ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
মামলায় শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সালাম, ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর অস্ত্রধারী বডিগার্ড আবুল কালাম আজাদ এবং ছাত্রলীগের শিবগঞ্জ পৌর সহসাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদকেও আসামি করা হয়। এ তিন আসামি হাইকোর্ট থেকে গত ৭ই জুলাই আট সপ্তাহের জামিন পান। জামিনের মেয়াদ শেষের আগেই আদালতে আত্নসর্মাপণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাদের তিন জনের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠান।
বুধবার তাদের জেল হাজতে নেওয়ার সময় আদালত চত্বরে বাদীর ভাই ও জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি সেতাউর রহমানসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আসামিদের পুলিশভ্যানে ডিম ছুঁড়ে স্লোগান দেন। এতে পুলিশ তাদের আটক করে। আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পুলিশ সেতাউরসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়। ঘটনার আধ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে পুলিশ তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
ডিবিসি/ এইচএপি