ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর চার লক্ষাধিক মানুষের বাস রাঙামাটি ও নওগাঁ জেলায়। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। কিন্তু নানা সমস্যা, সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে তাদের এই ভাষা ও সংস্কৃতি। নেই নিজেদের ভাষায় কোনো শিক্ষার ব্যবস্থা। তবে, সব কিছু ছাপিয়ে তাদের এখন দাবি 'আদিবাসী' হিসেবে স্বীকৃতি পাবার।
পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটিতে ১৩টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের সংখ্যা তিন লক্ষাধিক। রয়েছে নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। নিজেদের নিয়মেই করেন উৎসব আয়োজন। কিন্তু নিজেদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিচয় দিতে চান না তারা। প্রকৃতির সঙ্গেদ মিশে থাকা পাহাড়ের এসব মানুষের দাবি 'আদিবাসী' হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির।
দীর্ঘ সময় ধরে দাবি জানানোর পর সাংবিধানিকভাবে ’আদিবাসী’ স্বীকৃতি না মেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
রাঙামাটি আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি চাকমা বলেন, ‘সংবিধানের দোহায় দিয়ে আদিবাসী স্বীকৃতির জন্য যে একটা প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে, সেটার বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ নিন্দা জানাই।’
মুন্ডা, পাহান, ওরাও, মাহালিসহ প্রায় ১৪টি ক্ষৃদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বাস নওগাঁ জেলায়। পাহাড়ীদের মতো, তাদেরও রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। তবে হারিয়ে যাচ্ছে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে।
প্রভাবশালীদের দাপটে পিছিয়ে পড়া এই মানুষগুলো প্রতিনিয়ত হারাচ্ছেন সহায় সম্বল। স্বস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত তারা। নেই মায়ের ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা।
সরকারি ভাবে আদিবাসী দিবস উদযাপনসহ পৃথক ভূমিকমিশন গঠনের দাবিও জানান তারা।
নওগাঁ ধামইরহাট আদিবাসী পরগনার সাধারণ সম্পাদকতুরশিক পাহান বলেন, ‘ আমাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। এই স্বীকৃতি না থাকার জন্য আমাদের নিজস্ব কৃষ্টি-কালচার থেকে আমরা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছি।’
১৯৯৪ সালে ৯ই আগস্টকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস বা আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।