আজ পালিত হচ্ছে ১৫তম আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণ এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০শে আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়ে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন মায়ের ডাকসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী মত দমনের নামে রাজনীতিক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুমের ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বেরিয়ে আসছে রোমহর্ষক নানা ঘটনা।
জুলাই-অভ্যুত্থানের পর গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদে সই করে সরকার। পাশাপাশি দুটি অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন।
১৫তম আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনের সদস্য নূর খান লিটন বলেন, গুমে জড়িতদের বড় একটি অংশ চিহ্নিত হয়েছে। উদঘাটিত হয়েছে পুরো প্রক্রিয়া। ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
প্রতিবেদন আমলে নিয়ে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা গেলে ভবিষ্যতে কেউ গুমে জড়িত হওয়ার সাহস করবে না বলে মন্তব্য করেন নূর খান লিটন।
গত ১৬ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে ৭০০ বেশি মানুষ গুম হওয়ার তালিকা রয়েছে মায়ের ডাক নামে সংগঠনের কাছে। সংগঠনটির সমন্বয়করা জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সংস্থা ব্যবহার করে গুম করা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। তাই আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে স্বজনদের দাবি, শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে গুমের সঙ্গে জড়িত আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রত্যেক কর্মকর্তার কঠোর শাস্তি হোক।
অন্যদিকে, গুম প্রতিরোধে আইন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও সংস্কারের দাবি তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পাশাপাশি গুম প্রতিরোধে আইন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও সংস্কারের দাবি তাদের।
ডিবিসি/ এইচএপি