বিশ্বকাপ বাছাইয়ে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি পর্তুগাল। অধিনায়ক রোনালদোর সামনে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হবার হাতছানি। 

ইরানের আলি দাইকে সরানোর সুযোগটা আসে ম্যাচের শুরুতেই। ডি-বক্সে ফাউলের শিকার ব্রুনো ফার্নান্দেস। পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। কিন্তু রোনালদোর দূর্বল স্পটকিক ঠেকিয়ে দেন আইরিশ গোলরক্ষক। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ নেয়া সাত পেনাল্টিতে প্রথম ব্যর্থ সিআরসেভেন।

পেনাল্টি মিসের হতাশা বাড়ে হাফ টাইমের ঠিক আগে। কর্ণার থেকে দারুণ হেডে দলকে লিড এনে দেন আয়ারল্যান্ডের ডিফেন্ডার জন ইগান।

একদম শেষ সময়ে ম্যাচে ফেরে পর্তুগাল। ৮৯ মিনিটে গনজালো গেদেসের ক্রস থেকে ট্রেডমার্ক হেডারে রোনালদোর সেই কাংখিত গোল ;ম্যাচে সমতা ফেরান পর্তুগীজ অধিনায়ক। এর সাথে হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটাও।

যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে ডান দিক থেকে জোয়াও মারিওর ক্রস। আবারো সেই হেডারে দলের জয় নিশ্চিত করলেন পাঁচবারের বর্ষসেরা এ ফুটবলার। রোনালদোর জার্সি খুলে বুনো উদযাপন। চার ম্যাচ শেষে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে পর্তুগাল।

পর্তুগালের জয়ের দিন পয়েন্ট হারিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। বসনিয়ার সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে এমবাপ্পের দল। 

এদিন ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ বসনিয়া। ৩৫ মিনিটে এডিন জেকোর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ডি বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া জোরালো শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন ফ্রান্স কিপার হুগো লরিস।

লিডটা ধরে রাখতে পারেনি বসনিয়া। এর চার মিনিট পরেই এমবাপের কর্ণার ক্লিয়ার করতে হেড করেন জেকো। যা গ্রিজমানের গায়ে লেগে জড়ায় জালে। বিরতির আগেই সমতায় ফ্রান্স।

৫১ মিনিটে ডিফেন্ডার জুলস কুন্ডের লাল কার্ডে দশ জনের দলে পরিণত হয় ফ্রান্স। এরপর  গোল না পেলে পয়েন্ট হারানোর হতাশায় মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। তবে ৪ ম্যাচে দুই জয় ও ড্রয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে ফ্রান্স।