পূর্ব আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যার যে অভিযোগ কাবুলের তালেবান প্রশাসন করেছে, তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে একে সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত বলে কড়া হুশিয়ারি দেওয়ার পরই পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ অভিযোগ করেন, সোমবার (২৪শে নভেম্বর) রাতে খোস্ত প্রদেশের গরবুজ জেলায় একটি বেসামরিক বাড়িতে পাকিস্তানি বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এতে নারী ও শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়।
এছাড়া কুনার ও পাক্তিকা প্রদেশেও হামলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে মুজাহিদ এই ঘটনাকে ‘আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি আঘাত’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন।
অভিযোগের জবাবে মঙ্গলবার (২৫শে নভেম্বর) রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফট্যানেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, তালেবান প্রশাসনের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান যখনই আক্রমণ করে, তা প্রকাশ্যে করে।’ তিনি স্পষ্ট করেন যে, ইসলামাবাদের যুদ্ধ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, আফগান জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আফগান মাটি ব্যবহারকারী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কাবুল ‘যাচাইযোগ্য’ ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত কোনো আলোচনা হবে না বলেও তিনি জানান।
এদিকে, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার মঙ্গলবার জানান, সম্প্রতি ইসলামাবাদে হওয়া আত্মঘাতী হামলার হামলাকারী আফগানিস্তানে যাতায়াত করেছিল এবং টিটিপি (তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান)-এর সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।
ওই হামলায় ১২ জন নিহত হন। মন্ত্রী জানান, ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এক সন্দেহভাজন স্বীকার করেছে যে সে আফগানিস্তানে গিয়ে হামলার পরিকল্পনা করেছিল।
এছাড়া পৃথক এক ঘটনায়, সোমবার খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গোয়েন্দা ভিত্তিক অভিযানে অন্তত ২২ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডিবিসি/এনএসএফ