বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
গত বছরের ৬ই অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে তাকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। এক বছর পূর্ণ হলেও আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ শেষ হয়নি এখনো।
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় সব মিলিয়ে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ই নভেম্বর চার্জশিট তৈরি করে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ। মামলার আসামিরাও সবাই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী। দ্রুত সময়ে সব আসামিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি পরিবারের।
১৩ই মে ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবরার ফাহাদ। আবরার প্রথমে কুষ্টিয়া মিশন স্কুল ও জেলা স্কুলে লেখাপড়া শেষ করে ২০১৮ সালে ৩১শে মার্চ তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তি হন।
তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের লেখাপড়াকালীন ২০১৯ সালে ৬ই অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে। আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের মামলার এজাহারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাসহ প্রথমে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, তবে তদন্তের পরে আসামির সংখ্যা ২৫ জন করা হয়। তবে তার বিচারকার্য শেষ হয়নি এখনো।
আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, ’ন্যক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হলেও এখন পর্যন্ত বিচার কাজ শেষ হয়নি। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি করছি যেন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড হয়।’
প্রতিবেশীরা জানান, মেধাবী শির্ক্ষার্থী আবরার ফাহাদ দেশের সম্পদ ছিল। নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হলেও আসামিরা এখনো শাস্তির আওতায় আসেনি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তারা।