জাতীয়

আবরার হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি যারা

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৮ই ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫৬:৩২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে আজ। রায়ে ২৫ আসামির মধ্যে ২০ জনকে ফাঁসি ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার বেলা ১২টার দিকে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। রায় ঘোষণার আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আর বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

পলাতক আসামিরা তিনজনই ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। পলাতক আসামিরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ এবং মাহমুদুল জিসান।

এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে, তিন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেনি।

আবরার হত্যায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২০ আসামিরা হলেন-

বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশারফ সকাল, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, মাজেদুর রহমান মাজেদ, সদস্য মুজাহিদুর রহমান, সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শামীম বিল্লাহ, শাদাত হোসেন, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান মিজান, মাহামুদ সেতু, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদুজ্জামান জিসান, সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মাহমুদুল জিসান, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ।

অন্যদিকে রায়ে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, আকাশ হোসেন, মোয়াজ আবু হোরায়রা, আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ২০১৯ সালের ৬ই অক্টোবর রাতে বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন চকবাজার থানায় মামলা করেন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ।

ঘটনার নির্মমতা সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লে দেশব্যাপী ওঠে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড়। হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সারা দেশে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

আরও পড়ুন