দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, আমরা যেন কারো পাতানো ফাঁদে পা না দেই। তারা চেষ্টা করছে আমাদেরকে উত্তেজিত করে তাদের পাতা ফাঁদে পা দেয়ার জন্য। যাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই।
সোমবার (১৪ই জুলাই) নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণের যৌথ উদ্যোগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, অপপ্রচার এবং মিটফোর্ড এলাকায় প্রকাশ্যে লালচাঁদ সোহাগকে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই-দেশে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। লন্ডন বৈঠকে তারেক রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টা আলাপ করে ঠিক করেছেন। সেটির বাস্তবায়ন করা। আশা করি এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, লন্ডন বৈঠকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঠিক হওয়ার পর থেকে ওদের মাথা বিগড়ে গেছে। যখন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমান সাহেব নিশ্চিত করে ফেলেছেন যে, এবার নির্বাচন হবে, তখন থেকেই তাদের মাথা বিগড়ে গেছে।
মহাসচিব বলেন, ‘আমরা নির্বাচন চাই, আমরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই, আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা জনগণের খাওয়া-পড়ার ব্যবস্থা করতে চাই, চাকুরির সংস্থান করতে চাই, নতুন এক বাংলাদেশ আমরা নির্মাণ করতে চাই। অপরদিকে ‘ওদের পরিকল্পনাটা হচ্ছে অত্যন্ত ভয়াবহ । তারা বাংলাদেশে আবার একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চান। অস্থিরতা ও বিভাজনের রাজনীতি চায়।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল, এই দলকে দেশের জনগণ ভালোবাসে। যত ষড়যন্ত্রই করেন না কেন এই দলকে সহজে জনগণের মন থেকে উঠিয়ে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যখন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ওপরে হামলা করা হয়েছিল তখন অনেকের খোঁজ ছিল না। বিএনপি হেফাজতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। আর একটি দলের লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই। যাদের নিজের পায়ে জোর নাই, তারা এখন গায়ের জোরে কথা বলেন।
ডিবিসি/কেএলডি