বাংলাদেশ, জাতীয়

আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী নির্বাচন, এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি

বাসস

ডিবিসি নিউজ

সোমবার ১১ই আগস্ট ২০২৫ ০২:৪১:২৬ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আইজিপি বাহারুল আলম জানিয়েছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রস্তুত। তিনি সম্প্রতি বাসসকে বলেন, 'আমাদের প্রধান লক্ষ্য আগামী নির্বাচন এবং আমরা এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকার বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রায় ৮ লক্ষ সদস্য মোতায়েন করছে। এর মধ্যে রয়েছে পুলিশ, আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এসব সংস্থার সদস্যদের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।

 

নির্বাচনের সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সুরক্ষায় আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। এছাড়া, নির্বাচনকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য সরকার ৪০ হাজার বডি-ওয়ার্ন ক্যামেরা কেনার পরিকল্পনা করছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্রের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে এই ক্যামেরাগুলো দেওয়া হবে, যাতে তারা ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি তথ্য পাঠাতে পারেন।

 

গত বছরের ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি এবং অন্যান্য সরকারি স্থাপনা থেকে লুণ্ঠিত প্রায় ৭০০ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সরকার শিগগিরই তথ্য প্রদানকারীদের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করবে। সূত্রমতে, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর মোট ৫ হাজার ৭৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড গুলি লুট করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল রাইফেল, সাব-মেশিনগান, লাইট মেশিনগান, পিস্তল, শটগান, গ্যাসগান, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার, টিয়ার গ্যাস শেল, সাউন্ড গ্রেনেড এবং অন্যান্য গোলাবারুদ।

 

লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের জন্য গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার যৌথ অভিযান শুরু করেছে, যা এখনো চলছে। পুলিশ সদর দপ্তরের মতে, গণঅভ্যুত্থানের পর প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সূত্র: বাসস

 

ডিবিসি/এইচএপি

আরও পড়ুন