বিউটি খাতুন। জন্মেছেন খুবই ছোট হাত নিয়ে, যা দিয়ে কাজ করতে পারেন না। তবুও থেমে যাননি তিনি। পা দিয়ে লিখেই করছেন লেখাপড়া। পড়ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে। স্বপ্ন দেখেন পা দিয়ে লিখেই একদিন জজ হবেন।
আর ৫টি শিশুর মতো বিউটি খাতুনের জন্ম খুব সুখের হয়নি। তার দুটি হাত স্বাভাবিক না হওয়ায় তার জন্ম সবাইকে খুশিও করতে পারেনি। জন্মের পর তার ভবিষ্যত নিয়েও সবাই চিন্তিত ছিল। তবে তার বাবা সাহস নিয়ে পাশে থাকেন বিউটির। সব সময় বললেন, ’হাত নেই তো কি হয়েছে পা দিয়েই লিখো।’
শুরু হয় বিউটির পা দিয়ে লেখা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ধাপ পেরিয়ে মেধাবী বিউটি এখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী। বিউটির স্বপ্ন এখন জজ হওয়া। তাই সব সময়ই বিউটি বলেন, ’হাত নেই তো কি হয়েছে, পা দিয়ে লিখেই জজ হব ইনশাল্লাহ।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বায়োজিদ প্রমানিকের কন্যা বিউটি। শত অভাবের মাঝেও তার একমাত্র ভাই আব্দুর রহমান শুধু বোনের সুবিধার জন্য চলে এসেছেন রাজশাহীতে। বিউটির ভাবি রাখিমনি দেখভাল করেন বিউটির। প্রতিদিন ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন তাকে।
ক্যাম্পাসে বন্ধুরা সব সময় বিউটিতে আগলে রাখেন। বিউটির মতো মেধাবীকে নিয়ে তারা গর্ব করেন।
বিউটির শিক্ষক জানালেন, দারুন মেধাবী বিউটি। সে প্রতিবন্ধী কোঠায় নয়, বরং নিজ মেধায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তার পড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন তারই এক আইনজীবী বন্ধু।
বিউটি প্রমাণ করতে চলেছেন, প্রতিবন্ধী হওয়া সত্যেও বোঝা না হয়ে নিজেকে কিভাবে পরিবার ও দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলবেন।