ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক

আরজু খান'র হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন উদ্যোগ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৫ই এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৩৮:২৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অতিথেয়তা শিল্প সবসময়ই পরিবর্তনশীল এবং মানুষের মন ছুঁয়ে যাওয়া পেশা। এই শিল্পে অভিজ্ঞতা শুধু পথপ্রদর্শকই নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রধান ভিত্তি। বাংলাদেশের হোটেল ব্যবস্থাপনায় এক সুপরিচিত নাম আরজু খান এবার অভিজ্ঞতার আলোকে শুরু করেছেন এক নতুন যাত্রা, সোশ্যাল মিডিয়াকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছেন পেশাজীবীদের কর্মদক্ষতাকে অনন্য উচ্চতায় নেয়ার জন্য।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ৩-৪ তারকা হোটেলে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে সফলভাবে কাজ করে আসা আরজু খান এখন নিজের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আগামী প্রজন্মের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছেন। তার ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ইতোমধ্যেই একটি ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে রূপ নিয়েছে, যেখানে নতুন এবং আগ্রহী পেশাজীবীরা পাচ্ছেন বাস্তবভিত্তিক, প্রাসঙ্গিক এবং প্রয়োগযোগ্য জ্ঞান।

 

অতিথেয়তা ক্ষেত্রে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল সাইপ্রাসের নিকোসিয়ার College of Tourism and Hotel Management-এ পড়াশোনার মাধ্যমে। সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর University of Nicosia থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এই একাডেমিক পটভূমি তাকে শুধু হোটেল ব্যবস্থাপনায় দক্ষ করে তোলে না বরং নেতৃত্ব ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম এক ম্যানেজারে পরিণত করে।

 

পেশাগত জীবনজুড়ে তিনি একাধিক হোটেলের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সেলস এন্ড মার্কেটিং, বার ম্যানেজমেন্ট, ফ্রন্ট অফিস, হাউসকিপিং, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, সিকিউরিটি—প্রতিটি বিভাগের সমন্বয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন সুশৃঙ্খল ও কার্যকর টিম। শুধু হোটেলগুলোর উন্নতি নয়, তার অধীনে কাজ করা বহু সহকর্মী আজ সফলভাবে এগিয়ে চলেছেন পেশাগত জীবনে।


আরজু খানের বর্তমান উদ্যোগটি শুধুই একটি ডিজিটাল প্রচেষ্টা নয়—এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। তিনি বিশ্বাস করেন, প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারে শিক্ষার পরিসর ও প্রভাব অনেকগুণ বাড়ানো সম্ভব। তাই তিনি সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নিয়েছেন একটি আন্তঃপ্রজন্মীয় শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে।

 

তার ভিডিও কনটেন্টে উঠে আসে হোটেল ব্যবস্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ ও প্রায়শই উপেক্ষিত বিষয়সমূহ—গ্রাহকসেবার সূক্ষ্ম দিক, রেস্টুরেন্ট পরিচালনার চ্যালেঞ্জ, হাউসকিপিংয়ের কার্যকর কৌশল, সেলস স্ট্র্যাটেজি, এমনকি নিরাপত্তা বিষয়ক বাস্তব পরামর্শ। এই বিষয়গুলো তিনি উপস্থাপন করেন এমনভাবে, যা একদিকে যেমন শিক্ষামূলক, তেমনি বাস্তব জীবনে প্রয়োগযোগ্য।

 

সবচেয়ে প্রশংসনীয় বিষয় হলো তিনি কঠিন বিষয়গুলো সহজ ভাষায়, গল্পের ঢঙে উপস্থাপন করেন। যেন একজন অভিজ্ঞ বন্ধুর কাছ থেকে শেখা—নির্ভরযোগ্য, বন্ধুসুলভ, এবং আন্তরিক। এই গুণই তাঁকে একজন আদর্শ মেন্টর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সফলভাবে ব্যবহার করার মাধ্যমে আরজু খান দেখিয়ে দিয়েছেন, একজন সত্যিকারের হোটেল ম্যানেজার কেবল পরিচালনায় দক্ষ হন না—তিনি একই সঙ্গে শিক্ষক, নেতা এবং ভবিষ্যতের নির্মাতা।

 

আজকের দিনে যখন হোটেল শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরির প্রয়োজন আগের চেয়ে অনেক বেশি, তখন আরজু  খানের মতো নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা আমাদের আশাবাদী করে তোলেন। তাঁর উদ্যোগ নতুনদের জন্য যেমন অনুপ্রেরণা, তেমনি শিল্পের সার্বিক মানোন্নয়নের পথেও এক সাহসী পদক্ষেপ।

 

ডিবিসি/কেএলডি

আরও পড়ুন