একদিকে যখন ইরানের মাটিতে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, অন্যদিকে তখন আলোচনার দরজা খোলা রাখার পাশাপাশি যেকোনো আগ্রাসনের ‘সমানুপাতিক জবাব’ দেওয়ার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান। ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেছেন, জেনেভায় তাদের প্রতিনিধিরা আলোচনায় প্রস্তুত, তবে উত্তেজনা বাড়ানো হলে ইরানও বসে থাকবে না।
শনিবার (২১শে জুন) আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের এই দ্বৈত অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।
ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, ইরান সংলাপে বিশ্বাসী। “আমরা অপর পক্ষের কথা শুনতে বিশ্বাসী। একারণেই আমাদের কূটনীতিকরা জেনেভায় উপস্থিত আছেন, যেন আমরা অপর পক্ষের বক্তব্য শুনতে পারি,” বলেন তিনি।
তবে তিনি যোগ করেন, যেকোনো অর্থবহ আলোচনার পূর্বশর্ত হলো ইসরায়েলি আগ্রাসনের বৈশ্বিক স্বীকৃতি। তিনি বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিশ্বকে প্রথমে এটা স্বীকার করতে হবে যে একটি আগ্রাসী শক্তি মধ্যরাতে আমাদের সামরিক কমান্ডার, নারী, শিশু, বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে।”
পশ্চিমা শক্তি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে তিনি বলেন, তাদের উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত এবং ইরানের জনগণের সাথে ‘হুমকির ভাষায়’ কথা বলা উচিত নয়।
মোহাজেরানি জোর দিয়ে বলেন, “তারা যদি কোনো ভুল করে, আমরা নিঃসন্দেহে নিজেদের রক্ষা করব এবং যা কিছু আমাদের ন্যায্য অধিকার, তা আমরা বাস্তবায়ন করব।”
আলোচনার বার্তা দিলেও চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, “আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র এমন ভুল করবে না। কিন্তু যদি উত্তেজনা বাড়ে, আমাদের জবাবও অবশ্যই সেই অনুপাতেই বাড়তে থাকবে।”
ডিবিসি/এমইউএ