সবকিছু ঠিক থাকার পরও ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া যেতে পারেননি ১৭ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। কখনো দ্বারস্থ হয়েছেন এজেন্সির। আবার কখনো অসহায়ের মতো ঘুরেছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে করিডরে। তবুও মেলেনি কোন সমাধান। প্রধান উপদেষ্টার সফরের মধ্য দিয়ে সমাধান আসবে-এমন প্রত্যাশা তাদের। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বৈঠকে
প্রধান উপদেষ্টার সফরের মধ্য দিয়ে সমাধান আসবে-এমন প্রত্যাশা তাদের। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বৈঠকে শ্রমবাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
৫ই আগস্ট গণঅভ্যুথানের পর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ই আগস্ট গঠিত হয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। ১৩ই আগষ্ট টেলিফোনে প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম।
সে সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রন জানান প্রধান উপদেষ্টা। গেল বছরের চৌঠা অক্টোবর এক সংক্ষিপ্ত সফরে ঢাকায় আসেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
আর আনোয়ার ইব্রাহীমের আমন্ত্রনে তিনদিনের সফরে মালেশিয়া যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জনশক্তি রপ্তানির পাশাপাশি দুদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় স্থান পেতে পারে আলোচনায়।
দুই নেতার বৈঠকের মধ্যে দিয়ে শ্রমবাজার সম্প্রসারণ ও যেসব শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেননি তাদের বিষয়ে সমাধান আসবে- আশা ভুক্তভোগিদের।
অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, প্রধান উপদেষ্টার এ সফরের মধ্যে দিয়ে দেশটিতে বাংলাদেশে থেকে কর্মী নেয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণের বিষয়টি নিশ্চিত হবে। রবিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়ার সফর নিয়ে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে গেল ১৫ বছরে তিনদফা বন্ধ হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। প্রধান উপদেষ্টার এ সফরের মধ্যে দিয়ে দুদেশে বিনিয়োগ বাড়ার পাশাপাশি জনশক্তি রপ্তানি নতুন গতি পাবে- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
ডিবিসি/ এইচএপি