বাংলাদেশ, জাতীয়

আসছে বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত

ডেস্ক নিউজ

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৩০শে মে ২০২৫ ১০:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আসছে বাজেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এর মধ্যে বড় অংশই থাকছে ভর্তুকি বাবদ। বকেয়া পরিশোধ করে টেকসই জ্বালানি খাত গড়াই হবে আগামী অর্থ বছরের মূল লক্ষ্য বলে জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির।

ভর্তুকি থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যয়বহুল তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন কমানো, অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধের তাগিদ বিশ্লেষকদের। 
 

অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। কিন্তু বিগত সরকারের সময় এ খাতে হয় ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি।  জ্বালানির ব্যবস্থা না করে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি চার্জ ও আমদানি নির্ভরতায় ঋণের বোঝায় নাজুক গুরুত্বপূর্ণ এ খাত।

 

বছরের পর বছর বড় অঙ্কের বাজেট বরাদ্দ ও ভর্তুকি দেয়া হয়েছে এ খাতে।  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ৪০ হাজার কোটি বরাদ্দ রাখা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকায়। আসছে বাজেটে এ খাতে ৩২ হাজার ৩শ ৯২ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। 

 

কর্মকর্তারা জানান, আসছে বাজেটে অর্থের অপচয় বন্ধে জোর দেয়া হচ্ছে।  


বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, বিদ্যুৎ খাতে বিপুল বকেয়া রেখে গেছে বিগত সরকার। গত বছর জুনে এর পরিমাণ ছিলো ৫০ হাজার কোটি টাকা। এরইমধ্যে বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ৩২ শতাংশ এবং জ্বালানি খাতে প্রায় সব বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছর ঋণের অর্থ পরিশোধ করে টেকসই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত গড়তে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।


বেশি খরচের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন, ক্যাপাসিটি চার্জ ও সিস্টেম লস কমিয়ে কমাতে হবে ভর্তুকি। সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে জোর দেয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের।  

 

টেকসই জ্বালানিখাত গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা। 

 

ডিবিসি/এমইউএ 

আরও পড়ুন