কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার ‘শ্যাডো ফ্লিট’ বা গোপন তেলবাহী ট্যাংকারে ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার (২রা ডিসেম্বর) মস্কোতে ভিটিবি ইনভেস্টমেন্ট ফোরামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে পুতিন বলেন, “সবচেয়ে চরম সমাধান হলো ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, তাহলে নীতিগতভাবেই জলদস্যুতা অসম্ভব হয়ে পড়বে।” তিনি আরও জানান, রাশিয়া ইউক্রেনীয় স্থাপনা ও জাহাজগুলোর ওপর হামলা জোরদার করবে এবং যেসব দেশের ট্যাংকার ইউক্রেনকে সহায়তা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শনিবার ইউক্রেনীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, কৃষ্ণসাগরে তেল লোড করতে যাওয়া দুটি নিষিদ্ধ রুশ ট্যাংকারে তাদের নৌ-ড্রোন আঘাত হেনেছে। এছাড়া মঙ্গলবার তুরস্কের উপকূলে সূর্যমুখী তেলবাহী একটি রুশ পতাকাবাহী ট্যাংকারে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে, যদিও ইউক্রেন এই ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। এর আগে নভোরোসিস্ক বন্দরেও ইউক্রেনীয় হামলায় তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছিল।
পুতিন অবশ্য কীভাবে ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের বিশাল ভূখণ্ড দখল করলেও ওডেসাসহ প্রধান বন্দরগুলো এখনও কিয়েভের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
ডিবিসি/পিআরএএন