ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার বিমান হামলা আরও তীব্র ও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি রাজধানী কিয়েভের কেন্দ্রস্থলে সরকারি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এবার পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে পেনশন নিতে জড়ো হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
এতে অন্তত ২৪ জন নিহত ও ১৯ জন আহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই প্রবীণ নাগরিক।
মঙ্গলবার (৯ই সেপ্টেম্বর) দোনেৎস্ক অঞ্চলের ইয়ারোভা গ্রামে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এই হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পেনশন নেওয়ার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি রুশ গ্লাইড বোমা সরাসরি ভিড়ের ওপর আঘাত হানে।
ইয়ারোভা গ্রামটি যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনের কাছে অবস্থিত হওয়ায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত হওয়ার পর এটি সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো অন্যতম নৃশংস হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে "বর্বর" এবং "নিষ্ঠুর" হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বার্তায় তিনি বলেন, 'এই হামলার বর্ণনা দেওয়ার মতো কোনো শব্দ নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'বিশ্ব নীরব থাকতে পারে না,' এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও জি-২০ দেশগুলোকে রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
এর আগে সপ্তাহান্তে রাশিয়া কিয়েভের ওপর যুদ্ধ শুরুর পর অন্যতম বৃহৎ বিমান হামলা চালায়। এই হামলায় রাজধানীর একটি প্রধান সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবনটিতে রাশিয়ার তৈরি 'ইস্কান্দার' ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। জেলেনস্কির কার্যালয় অভিযোগ করেছে, এসব রুশ অস্ত্রে এখনও কিছু মার্কিন ও ইউরোপীয় উপাদান পাওয়া যাচ্ছে, যা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছে পৌঁছাচ্ছে।
তথ্যসূত্র বিবিসি।
ডিবিসি/এমইউএ