আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন যুদ্ধ: মস্কোতে পুতিন-মার্কিন কর্মকর্তাদের পাঁচ ঘন্টার বৈঠকে মিলল না কোনো ‘সমঝোতা’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

১ ঘন্টা আগে
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দীর্ঘ বৈঠকের পরও ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে ভূখণ্ড বা অঞ্চল দখলের বিষয়ে কোনো সমঝোতা বা আপস হয়নি। মঙ্গলবার (২রা ডিসেম্বর) মস্কোতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং তাঁর জামাতা জ্যারেড কুশনার শান্তি আলোচনার লক্ষে মস্কো সফর করেন। ক্রেমলিনের জ্যেষ্ঠ সহযোগী ইউরি উশাকভ জানান, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা এই আলোচনা মধ্যরাত পর্যন্ত গড়ায়। তিনি বলেন, "এখনও কোনো সমঝোতা পাওয়া যায়নি, তবে আমেরিকার কিছু সমাধান বা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হতে পারে।" উশাকভ আলোচনাকে ‘খুবই দরকারি ও গঠনমূলক’ হিসেবে বর্ণনা করলেও জানান যে, ওয়াশিংটন ও মস্কো উভয় পক্ষকেই আরও অনেক কাজ করতে হবে।

 

বৈঠকের আগে এক বিনিয়োগ ফোরামে পুতিন ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্রদের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, তারা কেবল শান্তি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতেই অগ্রহণযোগ্য দাবি তুলছে। এ সময় পুতিন ইউক্রেনের বন্দর এবং কিয়েভকে সহায়তাকারী ট্যাঙ্কার ও জাহাজগুলোতে হামলা বাড়ানোর হুমকি দেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, পুতিনের বক্তব্যে স্পষ্ট যে তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান না। অন্যদিকে, আয়ারল্যান্ড সফরে থাকা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ‘মর্যাদাপূর্ণ শান্তির’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, কিয়েভের মিত্ররা হয়তো দীর্ঘ এই যুদ্ধে ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারে এবং রাশিয়া আমেরিকার মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছে।

 

ওয়াশিংটনে এক ক্যাবিনেট মিটিংয়ে ট্রাম্প স্বীকার করেন যে আলোচনা বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন প্রতিনিধিরা বুধবার ব্রাসেলসে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।

 

এদিকে রণক্ষেত্রে রাশিয়া দাবি করেছে তারা দোনবাসের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর ‘পোকরোভস্ক’ দখল করেছে, যদিও কিয়েভ তা অস্বীকার করেছে। রয়টার্সের তথ্যমতে, বর্তমানে ইউক্রেনের ১৯ শতাংশেরও বেশি ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ২০২৫ সালে রুশ বাহিনীর অগ্রগ্রতি ২০২২ সালের পর থেকে সবচেয়ে দ্রুততম।

 

সূত্র: আল জাজিরা

 

ডিবিসি/পিআরএএন

আরও পড়ুন