উচ্চ বেতনের কারণে ইউরোপের দেশ ইতালি বাংলাদেশি কর্মীদের পছন্দের শীর্ষে থাকলেও ভিসা পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। মূলত, ভুয়া নিয়োগপত্রসহ জাল ডকুমেন্ট দিয়ে কিছু চক্র আবেদন করায় ইতালি সরকার ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। এতে বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ভোগান্তিতে পড়ছেন বহু বাংলাদেশি।
টানা সাত বছর বন্ধ থাকার পর ২০২০ সালে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে কর্মী প্রেরণ সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় এবং ২০২১ সাল থেকে দেশটিতে আবারও বাংলাদেশি কর্মী পাঠানো শুরু হয়। তবে অসাধু চক্রের জালিয়াতির কারণে এ প্রক্রিয়া আবারও ধীর হয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, এই জালিয়াতি ও অনিয়মের পেছনে ইতালি প্রবাসী একটি চক্র সক্রিয়, যারা একই কাগজ দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ জটিলতা নিরসনে দুই দেশকে সমন্বিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। অভিবাসন বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর ঢাকা ও রোমকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। রিক্রুটিং এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ফর ইউরোপের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফুর রহমান মনে করেন, ইউরোপের দেশটিতে সহজে জনশক্তি রপ্তানির জন্য ইতালি ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সম্পর্ক আরও জোরালো করা প্রয়োজন।
এদিকে, গত বুধবার (৯ই অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ইতালি সফর নিয়ে কথা বলার সময় তার প্রেসসচিব জানান, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ভিসা জটিলতা থেকে উত্তরণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে এবং এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
ভিসা প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে বৈধভাবে যেতে ইচ্ছুকরা দ্রুত এ সংকট থেকে মুক্তি চান। সংশ্লিষ্টদের মতে, সময়মতো ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে বাংলাদেশ ইতালির শ্রমবাজার হারানোর ঝুঁকিতে পড়বে।
ডিবিসি/এএমটি