বিবিধ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষের সাক্ষী হলেন বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ১৭ই জুলাই ২০২৫ ১২:১২:৪৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

মহাকাশের অতল গভীরে ঘটে যাওয়া এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

নতুন এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, এই সংঘর্ষটি দুটি ব্ল্যাক হোলের মধ্যে ঘটেছে, যাদের প্রত্যেকটির ভর ছিল সূর্যের চেয়েও একশো গুণের বেশি। এই মহাজাগতিক ঘটনা থেকে সৃষ্ট মহাকর্ষীয় তরঙ্গ শনাক্ত করে এই যুগান্তকারী আবিষ্কারটি করা সম্ভব হয়েছে।

 

এই ঘটনাটির নাম দেওয়া হয়েছে GW231123। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা এবং ওয়াশিংটনে অবস্থিত লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরি বা লাইগো (LIGO) ডিটেক্টরে এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গের মৃদু কম্পন ধরা পড়ে। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ হলো স্থান-কালের (space-time) মধ্যে সৃষ্ট ঢেউ, যা দুটি ব্ল্যাক হোলের মতো বিশাল বস্তু একে অপরের সাথে ধাক্কা খেলে তৈরি হয়।

 

বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন ১৯১৫ সালে তার আপেক্ষিকতা তত্ত্বে এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তবে তিনি ভেবেছিলেন, এই তরঙ্গ এতটাই দুর্বল হবে যে মানুষের তৈরি প্রযুক্তির পক্ষে তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে না। কিন্তু ২০১৬ সালে লাইগো প্রথমবারের মতো ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষের মাধ্যমে এই তরঙ্গ শনাক্ত করে আইনস্টাইনকে আরও একবার সঠিক প্রমাণ করে। সেই আবিষ্কারের জন্য ২০১৭ সালে তিনজন বিজ্ঞানীকে পুরস্কৃত করা হয়।

 

প্রথম শনাক্তকরণের পর থেকে লাইগো এবং এর সহযোগী ডিটেক্টর—ইতালির ভার্গো (Virgo) এবং জাপানের কাগ্রা (KAGRA) এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি ব্ল্যাক হোল সংঘর্ষের সংকেত পেয়েছে।

 

লাইগো সায়েন্টিফিক কোলাবোরেশনের সদস্য মার্ক হ্যানাম বলেন, "এই ডিটেক্টরগুলো মানুষের তৈরি সবচেয়ে সংবেদনশীল পরিমাপক যন্ত্র। আমরা মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর এবং চরম ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করছি ক্ষুদ্রতম পরিমাপের মাধ্যমে।"

 

তথ্যসূত্র সিএনএন

 

ডিবিসি/এমইউএ

আরও পড়ুন