শুরু হয়েছে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। হজ পালনের উদ্দেশে মিনায় জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি।
রবিবার (২৫ জুন) লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনি ও কাবা প্রদক্ষিণের মাধ্যমে শুরু হয় পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা। এসময় কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করেন বিশ্বের ১৬০টি দেশ থেকে আসা লাখ লাখ হাজি।
আগামী পাঁচ দিন মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও মক্কায় অবস্থান করে হজ সম্পন্ন করবেন হাজিরা। মিনাতে অবস্থানের পর, মুসল্লিরা যাবেন আরাফাতের ময়দানে। সেখানেই বয়ান করা হবে পবিত্র হজের মূল খুতবা। মুজদালিফায় রাত্রী যাপনের পর ১০ জিলহজ সকালে আবার মিনায় ফিরবেন হাজিরা।
পরে জামারায় শয়তানের উদ্দেশে পাথর নিক্ষেপ করবেন। এদিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করা হবে। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিহাসে এবারই (২০২৩ সালে) সবচেয়ে বেশি হাজির পদচারণায় মুখরিত হয়েছে কাবা প্রাঙ্গণ।
দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘চলতি বছর আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হজ করতে চলেছি।’
মন্ত্রণালয়টি আশা করছে, এবার হজ পালন করছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৫ লাখের বেশি মানুষ। করোনার বিধিনিষেধ পুরোপুরি উঠে যাওয়ায় এবার আগের বছরের তুলনায় বহু পরিমাণে বেড়েছে হজযাত্রীর সংখ্যা।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ১০ হাজার মানুষ; ২০২১ সালে ৫৯ হাজার। আর গত বছর এ সংখ্যাটি ছিল ১০ লাখ।
এদিকে এবার হজের মৌসুমটা পড়েছে তীব্র গরমের মধ্যে। জানা গেছে হাজিদের প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে। এই গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যেন তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সেজন্য ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।