বাংলাদেশ, জাতীয়

ইন্টারনেট বন্ধের সাথে আগুন লাগার কোনো সম্পর্ক ছিল না

নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৩ই আগস্ট ২০২৪ ০৬:০৮:৪১ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

শিক্ষার্থীদের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা কন্ধ রাখা হয়। এতে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন সেই সাথে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়। দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং এ সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এর নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটি পক্ষ্য থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

দাখিলকৃত ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫-১৬ জুলাই ২০২৪ সময়কালে মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮ জুলাই ২০২৪ হতে ২৩ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত ও ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ব্যতিরেকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এর মৌখিক নির্দেশক্রমে “বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন“ (বিটিআরসি) এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এর নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।


অপরদিকে, গত ১৭ জুলাই ২০২৪ থেকে ২৮ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন “ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার“ (এনটিএমসি) এর নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়। উল্লেখ্য, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, বর্ণিত সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সাথে ইন্টারনেট বন্ধের কোন সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সাথে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারনার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সাথে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান আছে।

 

ডিবিসি/এসকে

আরও পড়ুন