ইন্দোনেশিয়ার সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। এর ফলে দ্রুতগতিতে বিপজ্জনক পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ শুরু হওয়ায় দেশটির আগ্নেয়গিরিবিদ্যা সংস্থা জাভা দ্বীপের সর্বোচ্চ এই পর্বতের সতর্কতা স্তর সর্বোচ্চে উন্নীত করেছে।
বুধবার (১৯শে নভেম্বর) সংস্থাটি জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরিটি আকাশে প্রায় ৫.৬ কিলোমিটার (৩.৪৮ মাইল) পর্যন্ত লম্বা ছাইয়ের মেঘ উড়িয়ে দিয়েছে। ঝুঁকির কারণে আশেপাশের বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরি থেকে কমপক্ষে ২.৫ কিলোমিটার (১.৫৫ মাইল) দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ পোস্টের কর্মকর্তা মুকদাস সোফিয়ানের লিখিত প্রতিবেদন অনুসারে, অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয় বিকাল ৪টার দিকে (০৯:০০ GMT)।
সোফিয়ান আরও বলেন, পাইরোক্লাস্টিক প্রবাহ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এর ধ্বংসাবশেষ শিখর থেকে সাত কিলোমিটার (৪.৩ মাইল) পর্যন্ত দূরত্বে প্রবাহিত হয়েছে এবং এই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করার সময়ও অগ্ন্যুৎপাত চলছিল।
জাভার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত মাউন্ট সেমেরু (বা মহামেরু) ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ, যার উচ্চতা ৩,৬৭৬ মিটার (১২,০৬০ ফুট)। এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় "রিং অফ ফায়ার"-এ অবস্থিত, যেখানে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প প্রায়শই ঘটে।
সেমেরুতে গত ২০০ বছরে অসংখ্যবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের মারাত্মক ঘটনাটিও উল্লেখযোগ্য, যেখানে ৬২ জন মারা গিয়েছিল এবং গ্রামগুলি গরম ছাইয়ে চাপা পড়েছিল।
অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। কাছাকাছি সম্প্রদায়, পরিবহন রুট এবং বিমান চলাচলের জন্য ঝুঁকি তৈরি করায় সেমেরুর ঘন ঘন কার্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সূত্র: আল জাজিরা
ডিবিসি/এসএফএল