ইরানে হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্বের সব কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল।
আজ শুক্রবার (১৩ই জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইডেনের ইসরায়েলি দূতাবাস জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে তাদের কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করবে ইসরায়েল এবং কোনো কনস্যুলার পরিষেবা প্রদান করা হবে না। তবে দূতাবাসগুলো কতদিন বন্ধ থাকবে সেবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্য ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে তেলআবিব। এছাড়া দূতাবাস ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তাও এর অন্যতম কারণ হতে পারে।
এর আগে আজ ভোরে ইরানে পাঁচ ধাপে হামলা চালায় ইসরায়েল। অজ্ঞাত এক সামরিক কমকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ইরানে শত শত হামলা চালানো হয়েছে এবং অন্তত আটটি স্থানে (শহরে) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।
এই হামলায় ইরানের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভোররাতে ইরানের রাজধানী তেহরানসহ একাধিক স্থানে হামলা চালায় ইসরায়েল। এসময় তেহরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) সদর দপ্তরে হামলা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ জেনারেল হোসাইন সালামি, খাতাম-আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার গোলাম আলী রাশিদ ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি নিহত হন। এছাড়া ছয় বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়। তারা হলেন- আব্দুল্লাহ মিনৌচেহর, আহমাদ রেজা জলফাঘারি, সায়েদ আমির হোসেন ফাকহি, মোতলাবিজাদেহ, ফারেদুন আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি।
ডিবিসি/এএনটি