ইরান-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। গত ১৬ জুন পশ্চিম তেহরানে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক অতি গোপনীয় বৈঠকে এই হামলা চালানো হয়েছিলো বলে জানিয়েছে ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্স নিউজ এজেন্সি। উদ্দেশ্য ছিলো ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৫ জুন যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ চলছিল, তখন ইসরায়েল এক হামলায় প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান, বিচার বিভাগের প্রধান এবং সংসদের স্পিকারকে একযোগে হত্যার চেষ্টা করে। তেহরানের শাহরাক-ই-ঘারব এলাকার কাছে একটি ভবনের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে তখন সেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি চলছিল।
হামলায় মোট ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল ভবনের সমস্ত প্রস্থান পথ বন্ধ করে দেওয়া এবং ভেতরের বায়ু চলাচল ব্যাহত করে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করা। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের পায়ে গুরুতর জখম হয়। হামলার সময় ভবনের নিচের স্তরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ইমার্জেন্সি হ্যাচ দিয়ে কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। হামলার সময় তিনজন শীর্ষ নেতাই ভবনের ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে অবস্থান করছিলেন।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এক সাক্ষাৎকারে তাকে হত্যার চেষ্টার কথা নিশ্চিত করে বলেন, "তারা চেষ্টা করেছিল। সেই অনুযায়ী কাজও করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে।" তবে তিনি হামলার সঠিক সময় প্রকাশ করেননি। বৈঠকের সময় এবং অবস্থানের তথ্য কোনো বিশ্বাসঘাতক ফাঁস করেছিল কিনা তা এখন ইরানের গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে।
ডিবিসি/এমএআর