বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের টেকসই উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের রূপরেখা নির্ধারণে বর্নাঢ্য এক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর এক পাঁচ তারকা হোটেলে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় আয়োজনে অংশ নেন আসন্ন ২০২৫–২০২৭ মেয়াদের ই-ক্যাব নির্বাহী কমিটির প্রার্থীরা।
বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ সভায় উঠে আসে ই-কমার্স খাতের কাঠামোগত দুর্বলতা, সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ কৌশলসহ নানা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
প্রার্থীরা একমত হন যে, দেশের ই-কমার্স খাত দ্রুত এগিয়ে গেলেও এখনও রয়েছে বেশ কিছু নীতি-গত অসংগতি, গ্রাহক সন্তুষ্টির ঘাটতি, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দক্ষতা সংকট এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা। যেসব বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, নিয়ন্ত্রক কাঠামো সংস্কার, গ্রাহক আস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং লজিস্টিকস ও ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের আধুনিকায়ন।
বক্তারা বলেন, আমরা ভিন্ন পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আমাদের লক্ষ্য অভিন্ন। একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং উদ্ভাবনী ই-কমার্স ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আয়োজনটি ছিল নিরপেক্ষ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে পরিচালিত। সকল প্রার্থী আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন ই-ক্যাব নির্বাচন (৩১ মে ২০২৫) হবে একটি সুন্দর ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, যা খাতটির সামনে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের দরজা খুলে দেবে। একসাথে চললে সম্ভব সব, এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের ই-কমার্সে সাফল্যের মূলমন্ত্র বলে উল্লেখ করেন তারা।
ডিবিসি/কেএলডি