রাজধানীর আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার সড়কে ঈদযাত্রা নিয়ে ভোগান্তির শঙ্কা রয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এ সড়কটি ২০ মিনিটে পার হওয়া গেলেও এখন সময় লাগছে দুই ঘণ্টারও বেশি।
রাজধানীর আবদুল্লাহপুর, ঢাকা থেকে বের হওয়ার অন্যতম বড় পথ। কিন্তু, যানজটে এই পথ হয়ে ঢাকা ছাড়ায় রয়েছে ভোগান্তি।
আব্দুল্লাহপুর পার হলেই যানজটে পড়তে হবে গাজীপুরের টঙ্গি স্টেশন রোড ও বোর্ড বাজারে। গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ছয় থেকে আটটি স্থানে জটে পড়ে থমকে থাকে গাড়ির চাকা।
যাত্রীরা বলছেন, যানজটের কারণে কখনই নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর উপায় নেই।
ঈদে ময়মনসিংহসহ আশেপাশের কয়েকটি জেলার বিপুল সংখ্যক যাত্রী বাড়ি ফেরেন এই পথ দিয়ে। প্রতিবছরের ভোগন্তি এবারের ঈদযাত্রায় আরও বাড়বে বলে শঙ্কা চালকদের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং ট্রাফিক পুলিশ বলছে, চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের কারণে কিছুটা অসুবিধা হলেও ঈদযাত্রায় স্বস্তি আনতে চেষ্টার কমতি নেই।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত জনবল আছে। অতিরিক্ত জনবল হিসেবে আমাদের পুলিশ থেকে আমরা ফোর্স পাব এবং মাননীয় কমিশনার স্যার নির্দেশনায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যে থানাগুলো আছে সেখানকার টিমগুলো আমাদের সহযোগিতা করবে।’
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেন, ‘আগামীকাল থেকে প্রত্যাশা করছি যে, ঈদের যাত্রা চরমভাবে শুরু হবে। সেই যাত্রাটা আমরা মনে করছি যে স্বস্তিভাবে যাত্রীদের দিতে পারব।’
তবে, এরই মধ্যে আব্দুল্লাহপুর ফ্লাইওভারের একাংশ খুলে দেয়া হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ফলে, কিছুটা চাপ কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।