মুসলমানদের জীবনে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই দিনটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। ঈদের রাতের অনেক ফজিলত রয়েছে। পাশাপাশি দোয়াও আছে।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন যখন আসে তখন আল্লাহতায়ালা রোজাদারদের পক্ষে গর্ব করে ফেরেশতাদেরকে বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ তোমরাই বলো রোজাদারদের রোজার বিনিময়ে আজকের এই দিন কি প্রতিদান দেওয়া যেতে পারে? সেই সমস্ত রোজাদার, যারা তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি আদায় করেছে, তখন ফেরেশতারা আল্লাহকে বলেন, হে দয়াময় আল্লাহ উপযুক্ত উত্তম প্রতিদান তাদের দান করুন । কারণ তারা দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা করেছেন, প্রাপ্য পারিশ্রমিক তাদেরকে দান করুন।’
ঈদের রাতের ফজিলত: হজরত আবু দারদা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় উভয় ঈদের রাতে ইবাদত করবে, তার অন্তর সেদিন মরবে না যেদিন সমস্ত অন্তর মারা যাবে।’ -(ইবনে মাজাহ) আরেকটি হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাত এবং অর্ধ শাবানের রাত জাগ্রত থেকে ইবাদত করবে, তাহলে সেদিন তার অন্তর মারা যাবে না যেদিন সমস্ত অন্তর মারা যাবে।’ -মারেফাতুস সাহাবা
ঈদের রাতে দোয়া কবুল হয় : দোয়া মোমিনের হাতিয়ার। দোয়ার মাধ্যমে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। আর নিজের জীবনে নেমে আসা অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। এমনকি দোয়ার ফলে জীবনের ভাগ্যও ঘুরে যায়। আর সে দোয়া যদি কবুলের আশ্বাস পাওয়া যায় তাহলে হেলায়-খেলায় সময় নষ্ট করা ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে হজরত ইবনে ওমর (রা.) বলেন, ‘পাঁচটি রাতে দোয়া বিফলে যায় না। এক. জুমার রাত। দুই. রজবের প্রথম রাত। তিন. শাবানের ১৫ তম রাত। চার. ঈদুল ফিতরের রাত। পাঁচ. ঈদুল আজহার রাত।’ -শুআবুল ইমান
ডিবিসি/কেএলডি