বাংলাদেশ, শিক্ষা

ঈদে প্রশাসনের টাকায় শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন, নিজেদের নামে চালালো জবি ছাত্রলীগ

জবি প্রতিনিধি

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ১৮ই জুন ২০২৪ ০৩:০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ঈদের দিন ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আপ্যায়নের পুরো খরচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেয়া হলেও বণ্টনে সহযোগিতা করার সুযোগ নিয়ে নিজেদের নামে আপ্যায়নের অপ্রচার করার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের আপ্যায়নের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজি।

আজ সোমবার (১৭ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল ও ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করা হয়। এসময় প্রক্টরিয়াল টিমের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার, মনির হোসেন, কিশোর রায়, মাসুদ রানাসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানা শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। খাবার বণ্টনে তাদের সঙ্গে জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।

 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, জবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঈদের দিন শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করা হয়েছে বলে পোস্ট দিচ্ছেন। কোনো কোনো পোস্টে জবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য আপ্যায়নের কোনো ব্যবস্থা করেনি মন্তব্য করে ছাত্রলীগ থেকে সব আয়োজন করা হয়েছে বলা হচ্ছে। 

এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আপ্যায়ন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। দেড় লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে পুরো খরচ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে খাবার বণ্টনে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছিল। খাবার বণ্টনের সময় আমাদের প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত ছিল। শিক্ষার্থীরা যারা ক্যাম্পাসে এসেছে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়েছে। ছাত্রী হলেও আপ্যায়ন করা হয়েছে। কেউ যদি বিভ্রান্তি ছড়ায় বিষয়টি বিব্রতকর।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখতে পারছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থী আমাদের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্য দিচ্ছে। তারা বলার চেষ্টা করছে প্রশাসন আমাদের আপ্যায়নের কথা বলে কোনো আয়োজন করেনি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাদের আয়োজনই শুধুমাত্র ছাত্রলীগকে দিয়ে করানো হয়েছে। এ আয়োজনে যত অর্থের প্রয়োজন তা হিসেব করে আমি নিজে ছাত্রলীগের হাতে দিয়েছি এমনকি বাবুর্চি পর্যন্ত ঠিক করে দিয়েছি আমি উপস্থিত থেকে। তারপরও কেনো এমন অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে আমার বুঝে আসে না।

 

অন্যদিকে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে যখন চলছে কোকাকোলার পণ্য বর্জনের আন্দোলন, ঠিক সেসময় বয়কটের মধ্যেই ঈদুল আজহার দিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আপ্যায়নের জন্য কোকাকোলাকে সঙ্গী করেছে শাখা ছাত্রলীগ। কোকাকোলার কোমলপানীয় কোক ও স্প্রাইটের ছবি দিয়ে শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জোর প্রচারণার চালানোরও অভিযোগ উঠেছে জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক সমালোচনা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, জবি ছাত্রলীগ কি আসলেই ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পক্ষে?

 

ডিবিসি/এএনটি

আরও পড়ুন