ঈদ আসলেই সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরেন। জীবনের শৈশব, কৈশোর যেখানে কেটেছে, সেই আপনজনদের সাথেই ঈদ উদযাপনের জন্য ছুটে যায় সবাই। তখন ফাঁকা পড়ে থাকে বাসা। তাই বাড়ি যাওয়ার আগে কিছু কাজ গুছিয়ে নিলেই ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে।
বাড়িতে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো করে নিবেন:
১. একটি তালিকা তৈরি করুন কাগজে বা স্মার্টফোনেই। ব্যাগে কী নিতে হবে, কার জন্য কী নিতে চান, কোন কাজগুলো আগে সেরে ফেলতে হবে এবং ঈদে কোথায় কোথায় বেড়াতে যেতে চান সেগুলো।
২. যে ব্যাগগুলো নেবেন, সেগুলো আগেই গুছিয়ে রাখুন। মোবাইলের চার্জার, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও ওষুধ গুছিয়ে সঙ্গে রাখুন।
৩. গ্যাসের চুলা ভালোভাবে বন্ধ করে নিবেন। কারণ কোনও কারণে গ্যাস লিক হলে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে। তাই সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকুন।
৪. বাসার ইলেকট্রিক বাতি, ফ্যান, কম্পিউটার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিনের সুইচ বন্ধ নিবেন। সবগুলো ইলেকট্রিক প্লাগ খুলে রাখার চেষ্টা করবেন।
৫. ফ্রিজে কোন কিছু না থাকলে ফ্রিজ খালি করে বন্ধ করে যেতে পারেন।
৬. অনেক সময় পানির কল চালু রাখা অবস্থায় পানি চলে গেলে পরে আর বন্ধ করতে মনে থাকে না। তাই সবগুলো পানির কল ভালোভাবে বন্ধ নিবেন।
৭. বালতি, বদনা ড্রাম খালি করে উল্টো করে রেখে দিবেন। বাথরুমের কমোড ঢেকে রাখবেন। কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। কারণ এই পানি জমা থেকেই ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়।
৮. গ্রীষ্মকালে ঘন ঘন ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। তাই মাথায় রেখে রান্না ঘর, বারান্দায় বা অন্য কোথাও যেখানে পানি জমার সম্ভাবনা থাকে। সে জায়গাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিন।
৯. অযথা অব্যবহৃত কাপড়চোপর জমিয়ে না রেখে পরিস্কার করে ওয়্যারড্রোবে রেখে দিন।
১০. বাড়িতে যাওয়ার আগে ঘরের ফ্লোর, বারান্দা ও বাথরুম ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিস্কার করুন। তারপর এতে এরোসল ছিটিয়ে যান। ঘরের ঝুল থাকলে তাও পরিস্কার করুন।
১১. অব্যবহৃত বোতল বা কন্টেইনার অযথা রেখে দিবেন না। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ফেলে দিন নির্দিষ্ট জায়গায়।
১২. সবকিছু শেষে বাড়ির সবগুলো কক্ষের একটি করে ছবি তুলে নিন। এতে কোনো ধরনের অসঙ্গতি থাকলে তা চোখে পড়বে এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
১৩. বাড়ির সবগুলো দরজা ও জানালা ভালোভাবে লক করে নিবেন এবং সবগুলো তালার চাবি সঙ্গে রেখে দেবেন।