সংবিধানের ৪৮ এর ১ অনুচ্ছেদ উল্লেখ আছে সংসদ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হবেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের চতুর্থ ভাগের এই অংশের ৩ অনুচ্ছেদে আরও উল্লেখ আছে, প্রধান বিচারপতির নিয়োগ ছাড়া সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিবেন রাষ্ট্রপতি। সমালোচকদের মতে ৭২ সালের পর থেকেই এ প্রক্রিয়ায় সীমিত করে দেয়া হয় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থাকা ব্যক্তির ক্ষমতা।  

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই রাষ্ট্রকে অধিক গণতান্ত্রিক ও কল্যাণকর করে তুলতে সংবিধানসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঢেলে সাজাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (১৯শে জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে আলোচনায় প্রাধান্য পায় রাষ্ট্রপতির নির্বাচন প্রক্রিয়া।

বৈঠক শেষে জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণসংহতি, গণঅধিকার পরিষদসহ বেশিরভাগ দল দুইকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, জেলা পরিষদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সমন্বয়ে ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। আর, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষের সদস্যদের ভোটে বিদ্যমান পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া পরিবর্তনে সবাই একমত হলেও, পদ্ধতি নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।    

অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে রবিবার আবারও আলোচনায় বসবে কমিশন।

ডিবিসি/এএমটি