বাংলাদেশ, শিক্ষা

এইচএসসি পরীক্ষা কাল: কমেছে পরীক্ষার্থী, কঠোর নির্দেশনা

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৫শে জুন ২০২৫ ০৯:৪০:৫০ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশজুড়ে একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই বিশাল পরীক্ষা আয়োজনের জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শেষ মুহূর্তে ফরম পূরণের সময় বাড়ানোর ফলে কয়েক হাজার নতুন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, যা তাদের জন্য ইতিবাচক খবর।

বোর্ডের দেওয়া সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে নিয়মিত ও অনিয়মিত সর্বমোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী এবার পরীক্ষায় বসছে। এর মধ্যে, ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজারেরও বেশি। 

 

তবে, গত বছরের তুলনায় এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৭৩ হাজার কমেছে, যা শিক্ষাবিদদের চিন্তায় ফেলেছে। একইভাবে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী প্রায় দুই হাজার কমেছে, যেখানে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৬ হাজারের বেশি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি হলেও, এখানেও প্রায় সাত হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে। প্রশ্ন ফাঁস ও নকল ঠেকাতে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড এবার ৩৩টি কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে। 

 

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য ১ জন কক্ষ পরিদর্শক এবং প্রতিটি কক্ষে কমপক্ষে ২ জন করে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও, পরীক্ষার্থীদের আসন ব্যবস্থা কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে করতে হবে বলে জানানো হয়েছে, যা পরীক্ষার পরিবেশে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে।


এইচএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ১০ আগস্ট শেষ হবে। এরপর, ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে ১১ আগস্ট এবং তা চলবে ২১ আগস্ট পর্যন্ত। গত তিন বছরের মধ্যে এবারই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সবচেয়ে কম, শতাংশের হিসেবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডেই এই হার বেশি।

 

এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান খন্দোকার এহসানুল কবির ব্যাখ্যা করে বলেন, "এমনিতেই দেখা যায় পর্যায়ক্রমে ওপরের শ্রেণিতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার বাড়ে। এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে এই ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হলো দারিদ্র্য এবং শিক্ষার্থীদের বিয়ে হয়ে যাওয়া।" তার এই মন্তব্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় সামাজিক-অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে।
 

ডিবিসি/আরএসএল

আরও পড়ুন