গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মবেশে বিভিন্ন মাজারে ফকিরের বেশে ঘুরে বেড়াতেন খোকন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। মাদক মামলায় ২০১৫ সালে এক বছরের সাজা থেকে বাঁচতে তিনি এমন পথ বেছে নিয়েছিলন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
দীর্ঘ আট বছর পর শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হকের নেতৃত্বে এএসআই সুবীর চন্দ্র দেবসহ একদল পুলিশ উপজেলার পৌর শহরের উত্তর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার খোকন মিয়া সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার পুরাতন রেলস্টেশন কলোনি টেকনিক্যাল রোড এলাকার মৃত নুরুল ইসলাম ওরফে নাঈম মিয়ার ছেলে। শনিবার সকালে খোকনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক জানান, চুনারুঘাট থানা এলাকায় চুরি, ডাকাতিরোধে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতে চেকপোস্ট ও পাহারা চলে। গভীর রাতে বাইরের অপরিচিত লোকজন এলেই তাদের তথ্য যাচাই করে ছাড়া হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টায় চুনারুঘাট পৌর শহরের চেকপোস্টে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক টমটম থামানো হয়। ওই টমটমে মুড়াবন্দ মাজার থেকে খোকনসহ কয়েকজন চুনারুঘাট পৌর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় টমটমের যাত্রীদের পরিচয় জানতে চাইলে খোকনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হয়। পরে তার নাম ঠিকানা যাচাই করে জানা যায়, খোকন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি।
তিনি জানান, ২০১৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এলাকায় মাদক পাচারকালে খোকনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বেরিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে অভিযোগপত্র দিলে আদালত আসামি খোকনকে দোষি সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
তিনি আরও জানান, রায় ঘোষণার পর খোকন মাজার ও আখরায় ভিক্ষুকের ছদ্মবেশ ধারণ করে আট বছর কাটিয়েছেন। তিনি আর কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখবে পুলিশ।
ডিবিসি/ এইচএপি