এক বছরে চিকন চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৪ টাকা। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের যোগসাজসই মূল কারণ। কর্পোরেট ব্যবসায়ীরা দুষছেন বাজার ব্যবস্থাপনাকে।
আর বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
রাজধানীর শান্তিনগরের বাসিন্দা রাসেল আহমেদ। এক সময় সচ্ছল জীবন যাপন করলেও করোনা মহামারিতে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চালের দামের উর্ধ্বগতিতে দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়েছে। তিনি বলেন, আগে দুই বেলা ভাতের ব্যবস্থা করতে পারতাম। কিন্তু এখন সকালে আর রাত রুটি খেয়ে থাকতে হয়। দুপুরেই শুধু ভাত খাওয়া হয়। এমন কোনো চাল নাই যে দাম বাড়েনি। সব ধরনের চালেই কেজি প্রতি ৪ থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে।
টিসিবি বলছে গত এক বছরে মিনিকেট, নাজিরশাইলসহ বিভিন্ন সরু চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৪ টাকা। আর গত এক সপ্তাহে রাজধানীর খুচরা বাজারে সরু চালের দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা।
গ্যাসের দাম, তেলের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি চালের দামের বাড়তিতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদেরে পাশাপাশি কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বাড়ছে। তবে, কপোর্টরেট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সঠিকভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা করতে না পারায় বাড়ছে চালের দাম।
তবে, বিশ্লষেকরা বলছেন, চালের বাজার স্থিতিশীল করতে না পারলে অর্থনীতিতে বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থনীতিবিদ ড. বজলুল হক খন্দকার, চালের দাম বাড়লে বাকি দ্রব্যমূল্যে বড় প্রভাব তৈরি হয়। আর এই প্রভাবটা অনেক সুদূরপ্রসারী। দ্রব্যমূল্যের সাথে অনেক বিষয় সম্পৃক্ত। সেক্ষেত্রে সব বিষয়ই আমাদের বিবেচনা করতে হবে।